ঢাকা শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কাঁদলেন, কাঁদালেন এফডিসির খোরশেদ

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫, ১১:৩০ পিএম

অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় দীর্ঘ কর্ম জীবনের চিরচেনা এফডিসি থেকে অবশেষে বিদায় নিলেন শিল্পনির্দেশকের সহকারী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। দীর্ঘ ৪৭ বছরের পথচলার পর এবার বিদায় নিলেন তিনি।

বুধবার (২৪সেপ্টেম্বর) বিকেলে এফডিসিতে আয়োজন করা হয় খোরশেদ আলমের বিদায় অনুষ্ঠান। সেখানে তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেও ফেলেন তিনি। 

এসময় খোরশেদ আলম বলেন, ‘সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। আমার জন্য যারা এ আয়োজন করেছেন, শরীরের সব রক্ত দিয়েও এ ঋণ শোধ হবে না। এফডিসি আগের মতো ভালো দিনে ফিরে যাক। এই কামনা করি।’

গুণী নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘খোরশেদের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমার বহু সিনেমাতে সে কাজ করেছে। সে কর্মজীবন শেষ করে পরিবারের কাছে ফিরছে, এটা আনন্দের বিষয়।’

চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি বলেন, ‘প্রায় অর্ধশতাব্দীর কর্ম জীবনের সমাপ্তি! এফডিসি ছেড়ে খোরশেদ আলম মামা ফিরে গেলেন তার আপন ভিটায়। বিদায় অনুষ্ঠানে তিনি কেঁদেছেন এবং আমাদেরকেও কাঁদিয়েছেন। বাকি জীবনে পরিবার নিয়ে ভালো থাকুক সেই দোয়া করি।’

ইয়ামিন হক ববি বলেন, ‘আঙ্গেল আমাদের সঙ্গে অনেক বছর কাজ করেছেন। যদিও আমি তাকে খুবই অল্প সময় পেয়েছি। আল্লাহ তাকে ভালো রাখুক। তার পাশে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। বিদায় অত্যন্ত বেদনার। তবুও বলব দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের আবারও দেখা হবে। এই বিদায় সুখকর হয় সেই দোয়া করি।’

এই চিত্রকর্মীকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করে পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রযোজক-নেতা খোরশেদ আলম খসরু, ফরমান আলী, বাংলাদেশ পরিচালক সমিতি, ফিল্ম ক্লাব, চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি, ইয়ামিন হক ববি, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, আর্ট ডিরেক্টর ফরিদ, প্রযোজক-চিত্রনায়ক মাহবুবুর রশিদ মুন্না, প্রযোজক শাহরিন সুমি, জুয়েল, চিত্রনায়ক সনি রহমান, ওমর মালিক, পরিচালক সৈকত নাসির, বাশার, তানি, বাসুদেব শিল্প নির্দেশক, চিত্রনায়িকা রাজ রিপা, অভিনেতা মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, রিপন খান প্রমুখ।

বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা এফ আই মানিক, ওয়াকিল আহমেদ, চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি, ইয়ামিন হক ববি, অভিনেতা কমল পাটেকর, সনি রহমান, চুন্নু, মাহবুবুর রশিদ মুন্না, মুন্না খান, নৃত্যপরিচালক ইউসুফ খান এবং এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি।

এই আয়োজনের নেপথ্যে ছিলেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক মাজহার বাবু, আহমেদ তেপান্তর, রাহাত সাইফুল, রঞ্জু সরকার, এ এইচ মুরাদ, আসিফ আলম, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, চলচ্চিত্র নির্মাতা গাজী মাহবুব ও সায়মন তারিক।

আয়োজক মাজহার বাবু বলেন, ‘খোরশেদ ভাই আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন, আমরা চেষ্টা করেছি তার পাশে থাকতে। তবে এই অল্প সময়ে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা তার জন্য সহায়তা পেয়েছি। যারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
শারীরিকভাবে অসুস্থ খোরশেদ আলম এবার ফিরে যাচ্ছেন নিজের জন্মস্থান চাঁদপুরের ভবানীপুর গ্রামে। এফডিসিকে পেছনে ফেলে সেখানে তিনি কাটাবেন জীবনের বাকিটা সময়।

বলা দরকার, এবারই প্রথম নয়, এর আগে এফডিসির ঝালমুড়ি বিক্রেতা প্রয়াত আব্দুল মান্নান মোল্লাকে বিদায় দেন উক্ত সাংবাদিকরা। ১৯৭২ সাল থেকে তিনি চলচ্চিত্রপাড়ায় ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তিনদিন ব্যাপি মুড়ি উৎসবের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ সহায়তা করে তাকে বিদায় দেন এই সাংবাদিকরা।

কাঁদলেন, কাঁদালেন এফডিসির খোরশেদ

অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় দীর্ঘ কর্ম জীবনের চিরচেনা এফডিসি থেকে অবশেষে বিদায় নিলেন শিল্পনির্দেশকের সহকারী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। দীর্ঘ ৪৭ বছরের পথচলার পর এবার বিদায় নিলেন তিনি।

বুধবার (২৪সেপ্টেম্বর) বিকেলে এফডিসিতে আয়োজন করা হয় খোরশেদ আলমের বিদায় অনুষ্ঠান। সেখানে তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেও ফেলেন তিনি। 

এসময় খোরশেদ আলম বলেন, ‘সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। আমার জন্য যারা এ আয়োজন করেছেন, শরীরের সব রক্ত দিয়েও এ ঋণ শোধ হবে না। এফডিসি আগের মতো ভালো দিনে ফিরে যাক। এই কামনা করি।’

গুণী নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘খোরশেদের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমার বহু সিনেমাতে সে কাজ করেছে। সে কর্মজীবন শেষ করে পরিবারের কাছে ফিরছে, এটা আনন্দের বিষয়।’

চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি বলেন, ‘প্রায় অর্ধশতাব্দীর কর্ম জীবনের সমাপ্তি! এফডিসি ছেড়ে খোরশেদ আলম মামা ফিরে গেলেন তার আপন ভিটায়। বিদায় অনুষ্ঠানে তিনি কেঁদেছেন এবং আমাদেরকেও কাঁদিয়েছেন। বাকি জীবনে পরিবার নিয়ে ভালো থাকুক সেই দোয়া করি।’

ইয়ামিন হক ববি বলেন, ‘আঙ্গেল আমাদের সঙ্গে অনেক বছর কাজ করেছেন। যদিও আমি তাকে খুবই অল্প সময় পেয়েছি। আল্লাহ তাকে ভালো রাখুক। তার পাশে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। বিদায় অত্যন্ত বেদনার। তবুও বলব দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের আবারও দেখা হবে। এই বিদায় সুখকর হয় সেই দোয়া করি।’

এই চিত্রকর্মীকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করে পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রযোজক-নেতা খোরশেদ আলম খসরু, ফরমান আলী, বাংলাদেশ পরিচালক সমিতি, ফিল্ম ক্লাব, চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি, ইয়ামিন হক ববি, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, আর্ট ডিরেক্টর ফরিদ, প্রযোজক-চিত্রনায়ক মাহবুবুর রশিদ মুন্না, প্রযোজক শাহরিন সুমি, জুয়েল, চিত্রনায়ক সনি রহমান, ওমর মালিক, পরিচালক সৈকত নাসির, বাশার, তানি, বাসুদেব শিল্প নির্দেশক, চিত্রনায়িকা রাজ রিপা, অভিনেতা মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, রিপন খান প্রমুখ।

বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা এফ আই মানিক, ওয়াকিল আহমেদ, চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি, ইয়ামিন হক ববি, অভিনেতা কমল পাটেকর, সনি রহমান, চুন্নু, মাহবুবুর রশিদ মুন্না, মুন্না খান, নৃত্যপরিচালক ইউসুফ খান এবং এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি।

এই আয়োজনের নেপথ্যে ছিলেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক মাজহার বাবু, আহমেদ তেপান্তর, রাহাত সাইফুল, রঞ্জু সরকার, এ এইচ মুরাদ, আসিফ আলম, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, চলচ্চিত্র নির্মাতা গাজী মাহবুব ও সায়মন তারিক।

আয়োজক মাজহার বাবু বলেন, ‘খোরশেদ ভাই আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন, আমরা চেষ্টা করেছি তার পাশে থাকতে। তবে এই অল্প সময়ে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা তার জন্য সহায়তা পেয়েছি। যারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’ শারীরিকভাবে অসুস্থ খোরশেদ আলম এবার ফিরে যাচ্ছেন নিজের জন্মস্থান চাঁদপুরের ভবানীপুর গ্রামে। এফডিসিকে পেছনে ফেলে সেখানে তিনি কাটাবেন জীবনের বাকিটা সময়।

বলা দরকার, এবারই প্রথম নয়, এর আগে এফডিসির ঝালমুড়ি বিক্রেতা প্রয়াত আব্দুল মান্নান মোল্লাকে বিদায় দেন উক্ত সাংবাদিকরা। ১৯৭২ সাল থেকে তিনি চলচ্চিত্রপাড়ায় ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তিনদিন ব্যাপি মুড়ি উৎসবের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ সহায়তা করে তাকে বিদায় দেন এই সাংবাদিকরা।