ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

বন বিভাগের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ আকাশমণি রোপণের অভিযোগ

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ০৩:৫৪ এএম

মুখে এক কথা, বাস্তবে তার ভিন্ন; সরকারের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও পরিবেশের ক্ষতিকর নিষিদ্ধ আকাশমণি রোপণের অভিযোগ পাথরঘাটা বন বিভাগের বিরুদ্ধে। উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রুপধন বেড়িবাঁধে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় এই চারা রোপণ করা হয়েছে।

বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ অফিসে গিগে দেখা গেছে, নার্সারিতে অসংখ্য আকাশমণি চারা রয়েছে। নিষিদ্ধ চারাগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করছেন কর্মীরা। যদিও রেঞ্জ কর্মকর্তা আজাদুল ইসলাম সরকারের নির্দেশনায় নিষিদ্ধের বিষয়টি স্বীকার করলেও বাস্তবে তার দপ্তর থেকেই লাগানো হচ্ছে আকাশমণি গাছ। রেঞ্জ কর্মকর্তা সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করলেও দায় চাপিয়ে দেন শ্রমিকদের ওপরে।

পাথরঘাটা বন বিভাগের সম্প্রতি বদলি হওয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বন বিভাগ থেকে আকাশমণি চারা উৎপাদনে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তাই দ্রুত বর্ধনশীল চাহিদাসম্পন্ন আকাশমণির চারা তৈরি করা হয়েছিল।’

সদ্য যোগদানকৃত রেঞ্জ কর্মকর্তা আজাদুল কবির বলেন, ‘আকাশমণি উৎপাদন, রোপণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। তার আগেই প্রায় ৩০ হাজার আকাশমণির চারা তৈরি করা হয়েছে। রুপধন এলাকায় সামাজিক বনায়নের কাজ গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে নিষিদ্ধ থাকায় আমরা অনেকটাই বিপাকে পড়েছি। শ্রমিকরা ভুল করে শতাধিক আকাশমণি চারা নার্সারি থেকে ট্রাকে তুলেছিল। তখন শুভ নামের এক সাংবাদিক ছবি তোলেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে গাছগুলো নামিয়ে রেখেছি। তার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করিনি।’

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার পর বন বিভাগে থাকা আকাশমণির ব্যাপারে নতুন কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই আকাশমণি নার্সারিতেই থাকবে।’ নতুন করে চারা উৎপাদন বন্ধ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নার্সারিতে থাকা চারাগুলো রোপণ করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’