বেনাপোল স্থলবন্দরে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৬৫ জন আনসার সদস্যকে শাস্তিমূলকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনসার সদর দপ্তরের নির্দেশে প্রথম ধাপে এসব সদস্যকে অন্যত্র বদলি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদ্য যোগদানকারী বেনাপোল আনসার কমান্ডার অসিত কুমার। তিনি জানান, বাহিনীর শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে ১৬৩ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম দফায় ৬৫ জনকে প্রত্যাহার করা হলেও পর্যায়ক্রমে অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
সম্প্রতি বন্দর এলাকায় ট্রাক প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় আনসার সদস্যরা ট্রাকপ্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা ‘বকশিশ’ আদায় করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্তে নামেন এবং অভিযোগের সত্যতা মিললে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
সূত্র জানায়, বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে আনসার ছাড়াও রয়েছেন বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা ‘পিমা’র ১২৯ জন সদস্য। এদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে যে কোনো সময় তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ট্রাক চলাচলে গেটপাস পরীক্ষা এবং সার্বিক তদারকিতে নিয়োজিত রয়েছেন এসব আনসার ও নিরাপত্তাকর্মী। তবে দায়িত্বে থেকেও চাঁদাবাজির মতো ঘটনায় সাধারণ পরিবহন চালক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ভবিষ্যতে সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আপনার মতামত লিখুন :