ঢাকা শনিবার, ০৯ আগস্ট, ২০২৫

নিজ ঘরে বৃদ্ধার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৫, ০২:০৬ এএম

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায় নিহতের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা হলেন সহর বানু (৬২)। তিনি কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার আব্দুল রহিম মিয়ার স্ত্রী। 
নিহতের স্বামী আব্দুল রহিম (৭১) বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জিনজিরা বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমি বাস থেকে বের হই। আমার ছেলে অফিসে ও পুত্র বধূ তাদের বাড়িতে অবস্থান করায় আমার স্ত্রী সহর বানু বাড়িতে একা ছিল। জোহরের নামাজ আদায় করার পর মসজিদের পাশে চায়ের দোকানে বসেছিলাম। তখন আমাদের এক প্রতিবেশী এসে বলেন, আপনার স্ত্রীর মরদেহ ঘরে পড়ে আছে। তখন বাসায় ছুটে গিয়ে দেখি, বাড়ির তৃতীয় তলায় আমাদের শয়নকক্ষে স্ত্রীর হাত-পা স্কচটেপ দিয়ে বাঁধা ও মুখে কাপড় গুজা অবস্থায় দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তখন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাজেদা হাসপাতাল ও পরে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 
তিনি আরও বলেন, কে বা কারা আমার স্ত্রীকে নৃশংস্যভাবে হত্যা করেছে সে ব্যাপারে কিছু জানি না। নিহতের পুত্রবধূ মীম বলেন, সকালে আমার স্বামী অফিসে যাওয়ার পর আমি আমার বাবার বাড়ি গিয়েছিলাম। পরে আমার শ^শুরও বাজারে যাওয়ায় মা ঘরে একা ছিল। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হয়তো কেউ ডাকাতি বা চুরি করতে এসেছিল। 
তিনি আরও বলেন, আমার শাশুড়ি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার কানে ও গলায় স্বর্ণালংকার ছিল। ঘটনার পর সেগুলো পাইনি। যারা আমার শাশুড়িকে হত্যা করেছে তাদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রসুলপুর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ঘটনাটি যোহরের নামাজের সময় দেড়টা থেকে পৌনে দুইটার মধ্যে ঘটতে পারে। ওই সময় আমি দুইজন পুরুষ ও একজনকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় বাসা থেকে বের হতে দেখেছি। আমাদের ধারণা ডাকাতরা খালার পরিচিত কেউ হতে পারে। তাই তাদের চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। 
নিহতের মামা ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন মাস্টার বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। এ ধরনের হত্যা কাম্য নয়। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস হোসেন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের শিগগিরই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।