রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিখোঁজের পরদিন গর্ত থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি শিশুর বাবা আব্দুর রশিদ মামলাটি করেন। পুলিশ আসামিদের একজন গ্রেপ্তার করেছে।
আসামিরা হলেন- আলমবিদিতর ইউনিয়নে সিট পাইকান এলাকার আজাহারুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, আইয়ুব আলী, মনু মিয়া, আবুল, মাছুম আলী, সাজু, কান্টু মিয়া, আশরাফ আলী, বাবু মিয়া, লাবলু মিয়া, মোশারফ হোসেন, বেতগাড়ী ইউনিয়নের সাতআনী শেরপুর এলাকার নূর মোহাম্মদ ও নগরবন্দ এলাকার রবিউল ইসলাম।
পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের মধ্যে নূর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল ভোরে গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের সাতআনী শেরপুর ছিটমহল এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি আল এমরান বলেন, ‘কী কারণে শিশুদের হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় পুলিশ নূর মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
বালুর গর্তে মিলল নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ। থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করার পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করবে। এর আগে উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ডাঙি পাইকান এলাকার জাকিরুল ইসলামের ছেলে মারুফ মিয়া (৬) ও একই এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুর রহমান (৭) বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গত মঙ্গলবার বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়। কিন্তু তারা আর বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনেরা। একপর্যায়ে বুধবার দুপুরে বাড়ির কিছু দূরে বালুর পয়েন্টের একটি গর্ত থেকে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় মারুফ মিয়ার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ওই পয়েন্ট থেকে আব্দুর রহমানের লাশও উদ্ধার করে।