ঢাকা শনিবার, ০৯ আগস্ট, ২০২৫

কবরস্থানে নেই নিষ্কাশন ব্যবস্থা অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৫, ০২:২০ এএম

ঝিনাইদহ পৌর কবরস্থানের অব্যবস্থাপনার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মৃত ব্যক্তিদের স্বজন ও কবর জিয়ারতে আসা সাধারণ মানুষ। কবরস্থানে কার্যকর কোনো পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জমে যায় পানি, সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে কবরগুলো ঢেকে যায় পানিতে, জিয়ারতকারীদের চলাচলের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় চরম দুর্ভোগ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কবরস্থানের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে বর্ষা মৌসুমে এ সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
পৌর কবরস্থানে দেখা যায়, কবরস্থানটি চারপাশে দেয়াল দিয়ে ঘেরা। কবরস্থানের প্রায় সব কবরই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কোথায় কার কবর রয়েছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই। কবরস্থানের পাশেই ছোট্ট একটি ড্রেন, যা ময়লা আবর্জনায় ভরা। পানি বের হওয়ার নেই কোনো উপায়। গতকাল জুমার নামাজ শেষে অনেকেই কবর জিয়ারত করতে এসেছিলেন। সে সময় সব কবর পানির নিচে দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন স্বজনরা। তারা জানান, এখন কেউ যদি মারা যায় তাহলে পৌর কবরস্থানে তাকে কীভাবে দাফন করবে তার পরিবারের লোকজন।
শহরের পাগলাকানাই মোড় এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম কবর স্থানে এসে তার একমাত্র মেয়ের কবর পানির নিচে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তিনি বলেন, ড্রেনের পানি ওভারফ্লো হয়ে কবরস্থানে ঢুকছে। এ ড্রেনের সঙ্গে মানুষের বাসাবাড়ির গোসলখানা, রান্নাঘর এমনকি কেউ সেপটি ট্যাঙ্কের লাইনজুড়ে দিয়েছেন। সেই পানি ড্রেন দিয়ে বের হয়। সেই পানিতেই কবরস্থান ডুবে আছে কয়েক সপ্তাহ। এটা দেখার কেউ নেই।  
একাধিক স্বজনহারা মানুষ জানান, তারা জিয়ারত করতে এসে অনেক সময় পানির কারণে কবর খুঁজে পান না। পানি ও কাদায় মিশে যাওয়া কবরগুলোর অবস্থা করুণ। কবরস্থানের পরিবেশ রক্ষা ও সম্মান অটুট রাখতে দ্রুত নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করার দাবি জানান তারা।
ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘কবরস্থানে পানি থাকার তো কথা না। পানি সরে যাওয়ার কথা। তারপরও বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। পানি জমে থাকলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’