বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুয়াকাটা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৭:৫৯ এএম

সৈকতে ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

কুয়াকাটা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৭:৫৯ এএম

সৈকতে ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও ভেসে এলো মৃত ডলফিন। প্রায় ৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে এ ডলফিনটি ইরাবতী প্রজাতির। এর পুরো শরীরে চামড়া উঠানো। ডলফিনটি একনজর দেখার জন্য স্থানীয়সহ পর্যটকরাও ভিড় জমিয়েছেন সৈকতে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে কুয়াকাটা সৈকত থেকে ২ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ঝাউবন এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের (উপরা) সদস্য কে এম বাচ্চু।

জানা যায়, ডলফিন শুধু সমুদ্রের প্রাণী নয়, এটি সমুদ্র পরিবেশের স্বাস্থ্য ও ভারসাম্যের এক গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ডলফিনের উপস্থিতি সমুদ্রের ইকোসিস্টেমকে সুস্থ রাখে, মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দেয় এবং স্থানীয় পর্যটন ও জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রেও অবদান রাখে।

কে এম বাচ্চু বলেন, আগের তুলনায় ডলফিনের মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও এখনো নিয়মিত এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমরা চাই, সরকার ও সংশ্লিষ্ট গবেষণা সংস্থা এই মৃত্যুর কারণ নিয়ে আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করুক।

উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (উপরা) এই অঞ্চলের মানুষদের সচেতন করতে এবং সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। আহ্বায়ক কে এম বাচ্চু বলেন, ডলফিন রক্ষা মানে আমাদের উপকূলের পরিবেশ রক্ষা করা। এটি একপ্রকার প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ। যা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য।

সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক বখতিয়ার রহমান বলেন, এটি মূলত  ইরাবতী প্রজাতির  ডলফিন (ঙৎপধবষষধ নৎবারৎড়ংঃৎরং)। রক্তাক্ত দাগ থেকে দেখা যায়, নৌযান, মাছ ধরার যন্ত্র ও জেলেদের কার্যক্রমই মৃত্যুর মূল কারণ। নদী ও মোহনার দূষিত পানি যেমন শিল্প বর্জ্য, প্লাস্টিক ও তেলও হুমকি সৃষ্টি করছে। গবেষকরা স্থানীয় সচেতনতা বৃদ্ধির এবং ডলফিন অভয়ারণ্য এলাকায় জাল ব্যবহারে সীমাবদ্ধতার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে কুয়াকাটার জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত থাকে।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, আমরা উপকূলজুড়ে কাজ করছি ডলফিন রক্ষায়। ২০২৫ সালে এ পর্যন্ত ৬টি ডলফিন মৃত অবস্থায় দেখা মিলেছে সমুদ্রসৈকতে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। যাতে এই ডলফিনগুলোর মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করা হয়।

বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, মাত্রই আমরা খবর পেলাম। ঘটনাস্থলে টিম পাঠানো হয়েছে মৃত ডলফিনটি মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যাতে দুর্গন্ধ ছড়াতে না পারে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!