ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

সাতক্ষীরায় আবারও ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৫, ০২:০০ এএম

দেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গত ৫ দিনে ১২৬ ট্রাকে মোট ৩ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। এতে বাজারে সাময়িকভাবে দাম কিছুটা কমলেও বর্তমানে নতুন করে ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) দেওয়া বন্ধ থাকায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখন খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০, যা আগের চেয়ে ৫-১০ টাকা বেশি।

জানা যায়, দেশি পেঁয়াজের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে যেতে থাকলে সরকার ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দিলে গত ১৭ আগস্ট থেকে ভোমরা বন্দরে দিয়ে আমদানি শুরু হয়। ওই দিন ৭টি ট্রাকে ২০২ টন আমদানি হয়। এবং দ্বিতীয় ধাপে মোট ৫ দিনে মোট ১২৬ ট্রাকে ৩ হাজার ৬৫০ টন আমদানি  হয়। এতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে, বাজারেও কিছুটা দাম কমার প্রভাব পড়ে। কিন্তু বর্তমানে নতুন আইপি দেওয়া না হওয়ায় শুধু আগের অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকেরাই সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আনতে পারছেন। এতে সরবরাহ কমে গিয়ে আবারও দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়, যা সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা জানান, ‘আগের আইপি থাকা আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আনছেন, কিন্তু নতুন কোনো অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত পদক্ষেপ না হলে সরবরাহের ঘাটতি আরও বাড়বে।’

ইমপোর্ট পারমিট বা আইপি হলো সরকারের দেওয়া একটি অনুমতিপত্র, যার মাধ্যমে বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমদানি করা যায়। কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে এটি সরকার নির্ধারিত নিয়ম ও নিয়ন্ত্রণ অনুযায়ী ইস্যু করা হয়। আইপিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে কোন দেশ থেকে পণ্য আনা যাবে, কী পরিমাণে আনা যাবে এবং কত দিনের মধ্যে দেশে প্রবেশ করবে। বর্তমানে নতুন কোনো আইপি দেওয়া হচ্ছে না। আগের আইপি পাওয়া আমদানিকারকরাই সীমিত পরিমাণে পণ্য আনতে পারছেন। ফলে বাজারে সরবরাহ সীমিত রয়েছে এবং দাম ঊর্ধ্বমুখী। সরকার চাইলে আইপি দিয়ে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে পারে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে।