বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন-ভাতার বিল গতকাল শনিবার (২৩ আগস্ট)-এর মধ্যে সাবমিট করার কথা ছিল। তবে নির্দিষ্ট তারিখ পার হলেও এখন পর্যন্ত ১৬২ স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের তথ্য প্রদান করেনি প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। এর ফলে বেতন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পর বেতন-ভাতার হিসাব চূড়ান্ত করবে ইএমআইএস সেল। এরপর তা পাঠানো হবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) প্রশাসন শাখায়। তবে প্রতিষ্ঠিানগুলো তথ্য না পাঠানোই আটকে আছে এসব কার্যক্রম।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের প্রোগ্রামার-৫ মো. জহির উদ্দিন বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো আগস্ট মাসের বেতন বিল সাবমিট করেনি। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং দ্রুত বিল পাঠাতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
মাউশি সূত্র জানা যায়, এ দপ্তরের অধীন ১৯ হাজার ৮০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে গত শনিবার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত ১৯ হাজার ৬৩৮টি প্রতিষ্ঠান আগস্ট মাসের বেতন বিল জমা দিয়েছে। তবে দেশের বিভিন্ন জেলার ১৬২টি স্কুল ও কলেজ প্রধান এখনো বিল জমা দেননি। ফলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীরা সময়মতো সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা পাবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ইএমআইএস সেলের কর্মকর্তারা জানান, বিল জমা না দেওয়া প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। অনেকে শিগগিরই বিল পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তবুও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়ে গেছে।
এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আগামী ২৭ আগস্টের মধ্যে আগস্ট মাসের বেতনের তথ্য মাউশির প্রশাসন শাখায় পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের গাফিলতির কারণে সময়মতো বিল জমা দেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। এতে আগস্ট মাসের বেতন দেরিতে পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’
অন্যদিকে শিক্ষক-কর্মচারীরা বলছেন, সময়মতো বেতন না পেলে তারা নানান আর্থিক সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে মাসের শুরুতে বাড়িভাড়া, ঋণ পরিশোধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে গিয়ে চরম সংকটে পড়তে হয়। তারা দাবি করেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতোই প্রতি মাসের বেতন যেন পরবর্তী মাসের শুরুতেই নিয়মিতভাবে পরিশোধ করা হয়।