সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৫, ১১:১১ এএম

নিজের জুস খেয়ে নিজেই বেহুঁশ অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৫, ১১:১১ এএম

অজ্ঞান পার্টি

অজ্ঞান পার্টি

ট্রেনের যাত্রী মা-মেয়েকে জুস পান করিয়ে অজ্ঞান করে খুলে নেন কানের দুল ও নাকের ফুল। এ সময় পাশের যাত্রীরা ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে হাতেনাতে অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা ফুল মিয়াকে (৫৫) আটক করেন। যাত্রীরা তার কাছে থাকা জুস যাচাই করতে তাকে পান করালে তিনি অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন। পরে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ দুই ভুক্তভোগীসহ অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান।

গতকাল শনিবার ভোরের দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী।

অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা ফুল মিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আব্দুলপুরের আব্দুস ছামাদের ছেলে। ভুক্তভোগী যাত্রীরা হলেনÑ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার করনাই এলাকার দক্ষিণ মালঞ্চ গ্রামের ইশনী রায়ের স্ত্রী কৌশিলা রায় (৫০) ও মেয়ে বীথি রানী (২৮)।

রেলওয়ে পুলিশ জানায়, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ঝ’ বগির ৭৮ ও ৭৯ নম্বর সিটের যাত্রী কৌশিলা ও বীথি। তারা দিনাজপুরের বিরামপুর স্টেশন থেকে সৈয়দপুরে আসছিলেন। পাশের সিটের যাত্রী ছিলেন অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা ফুল মিয়া। আলাপচারিতার একপর্যায়ে মা-মেয়েকে জুস পান করান তিনি। এতে ভুক্তভোগীরা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেন ফুল মিয়া।

এ সময় পাশের যাত্রী আব্দুর রহিম (অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা) বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ফুল মিয়াকে আটক করে ওই বগির যাত্রীদের বিষয়টি অবগত করেন। আটক ওই প্রতারক বিষয়টি অস্বীকার করলে যাত্রীরা তার কাছে থাকা জুস তাকে পান করতে বাধ্য করেন। এতে ফুল মিয়া নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়লে সবার কাছে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাত্রীরা তাৎক্ষণিক ট্রেনে দায়িত্বরত পুলিশকে অবগত করে অভিযুক্তসহ ভুক্তভোগীদের তাদের হাতে তুলে দেন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উন-নবী জানান, দুই ভুক্তভোগীসহ অজ্ঞান পার্টির মূল হোতাকে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ও আসামির জ্ঞান এখনো ফেরেনি। এ ঘটনায় দুপুরে কৌশিলা রায়ের ছেলে রবীন্দ্র নাথ রায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা ফুল মিয়ার নামে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!