ঢাকা বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আধাঘণ্টার পথ এক ঘণ্টায়, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

মো. শাহজাহান মিয়া, মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০২:০৯ এএম
  • সড়ক ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা
  • ভারী ট্রাক-ভ্যান চলায় সড়কের এই দশা
  • পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডসহ ৭ ইউনিয়নের মানুষ ভুক্তভোগী

মৌলভীবাজার পৌর শহরের সড়কসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মৌলভীবাজার-কাগাবলা ও মৌলভীবাজার-শমশেরগঞ্জ সড়কের বেহাল দশায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক উপজেলার মানুষ। ভাঙাচোরা রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দৈনন্দিন জীবনযাত্রা প্রায় থমকে গেছে।

পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড, সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জ জেলার চারটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ প্রতিদিন এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ১০ চাকার বালুবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ভারী যানবাহনের কারণে কম ধারণক্ষমতার সড়কগুলো ভেঙেচুরে গেছে। বিশেষ করে পশ্চিমবাজার ও পুরাতন হাসপাতাল সড়ক এখন চলাচলের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে কাগাবলা ও শমশেরগঞ্জ বাজারের দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। এই রাস্তাগুলো দিয়ে আমতৈল, কাগাবলা, নাজিরাবাদ, মির্জাপুর, ভুনবী, গজনাইপুর ও পানিউমদা ইউনিয়নের মানুষ মৌলভীবাজারে আসা-যাওয়া করেন। দীঘিরপাড়, সূর্যপাশা, ধনদাশসহ বিভিন্ন এলাকায় খানাখন্দের কারণে ছোট-বড় যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

দীঘিরপাড় বাজারের পল্লি চিকিৎসক জগদীশ চন্দ্র দে বলেন, ‘বছরের পর বছর রাস্তাঘাটের এই করুণ দশা। সিরিয়াস রোগী নিয়ে আসতে বিপাকে পড়তে হয়, ডেলিভারি রোগী হলে তো ভোগান্তির সীমা থাকে না।’

একই এলাকার ছাত্র জীবন দে পলাশ জানান, রাত-দিন ইটবাহী ট্রাক, ডিম ও ফিডবাহী কাভার্ড ভ্যান চলাচলের কারণেই রাস্তাগুলোর এই অবস্থা হয়েছে।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার সাদাত হোসেন ভূঁইয়া জানান, ‘পৌর শহরের রাস্তার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই বৃষ্টি কমলে কাজ শুরু হবে।’

এদিকে এলজিইডি মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী শাহেদ হোসাইন বলেন, ‘গত জুলাই মাসে সড়ক দুটি পরিদর্শন করে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।’