কক্সবাজার উপকূলে বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ পাচারের সময় ১০ জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। আটকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পেশাদার চোরাকারবারি বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে দেশীয় পণ্য নিয়ে মিয়ানমারে পাচার চলছিল। এর বিনিময়ে ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য আনার পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। এ ধরনের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড একটি বিশেষ অভিযান চালায়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে কোস্ট গার্ডের জাহাজ কামরুজ্জামান সেন্টমার্টিন ছেড়াদ্বীপসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় সন্দেহজনক একটি ফিশিং বোট আটক করে। পরে বোটে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের খাদ্যপণ্য পাওয়া যায়।
এর মধ্যে ছিল, ১০ হাজার কেজি ডাল, ১ লাখ ৫০ হাজার পিস মশার কয়েল, ২ হাজার ৫০০ কেজি রসুন, ১ হাজার কেজি টেস্টিং সল্ট, ১০ হাজার পিস রয়েল টাইগার এনার্জি ড্রিঙ্কস, ২ হাজার ৫০০ কেজি পেঁয়াজ। এ সময় পাচারের সঙ্গে জড়িত ১০ জনকে আটক করা হয়। এসব পণ্য শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচার করা হচ্ছিল বলে জানান কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।
এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চললেও এখনো সক্রিয় রয়েছে সীমান্তপথের চোরাকারবারিরা। তবে কোস্টগার্ড বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত টহল ও কঠোর নজরদারির কারণে পাচার প্রতিরোধে আরও সফলতা আসবে। জব্দ মালামাল, ফিশিং বোট ও আটক ১০ জন পাচারকারীকে আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।