আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় শুরু হবে আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ^কাপ। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ^কাপ খেলার উদ্দেশ্যে কলম্বোর বিমান ধরবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ২ অক্টোবর কলম্বোয় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। তবে এই মিশনে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে না পারার আক্ষেপ থাকছেই তাদের। তার পরও দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডে বিশ^কাপে খেলতে যাওয়া স্মরণীয় কিছু করে দেখাতে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
বিশ্বকাপের জন্য জ্যোতিদের প্রস্তুতি বলতে ঘরের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৫ ছেলেদের দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা আর দীর্ঘদিনের ক্যাম্প। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও নারী দলের প্রস্তুতির ঘাটতির কথা স্বীকার করেছেন। তার মতে, নারী বিশ^কাপে দেরিতে কোয়ালিফাই করেছে বাংলাদেশ, যে কারণে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ভালো মানের দল পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের আগে যারা বিশ^কাপে খেলা নিশ্চিত করেছে, তারা বিভিন্ন সিরিজ ও টুর্নামেন্টে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ নারী দলের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন করতে পারেনি বিসিবি। তার পরও বিশ^কাপে ভালো কিছু করতে আশাবাদী নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
আইসিসির এক কলামে বাংলাদেশ দল নিয়ে নিজের ভাবনা ও স্বপ্নের কথা বলেছেন তিনি। জ্যোতি বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিতীয় আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমরা নিশ্চিত যে এটি একটি দুর্দান্ত টুর্নামেন্ট হবে। আমরা দারুণ উৎসাহিত এবং আশাবাদী। আর এবার আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিন বছর আগে নিউজিল্যান্ডে আমাদের প্রথম ওয়ানডে বিশ^কাপ খেলার অভিজ্ঞতা দলের জন্য চোখ খুলে দেওয়ার মতো ছিল। গতবার আমরা ইতিহাস গড়েছিলাম, একটি অবিস্মরণীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ^¦কাপে আমাদের প্রথম জয় নিশ্চিত করেছিলাম। ওই দিন আমাদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন ফারজানা হক, যাকে আবারও স্কোয়াডে নির্বাচিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে সে আমাদের সাফল্যের জন্য অপরিহার্য, যেমনটা অপরিহার্য শারমিন আক্তার, যিনি ৩ নম্বরে নেমে ভালো খেলেছেন।
পাকিস্তানে আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে আমাদের সফলতার পেছনে শারমিনের ব্যাট থেকে আসা সর্বোচ্চ রান গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ স্পিনাররা সাফল্যের ভিত্তি গড়ে দিতে পারেন বলে মনে করেন জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি তারা ভারত ও শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনেও পাকিস্তানের মতো দুর্দান্ত পারফর্ম করবে। নাহিদা আক্তার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আমাদের প্রধান উইকেট শিকারি এবং দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ২০২২ সালের স্কোয়াড থেকে ফিরে আসা সাতজন খেলোয়াড়ের মধ্যে সে একজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সম্মান এখনো পায়নি এমন খেলোয়াড়দের সঙ্গে তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবে। গত আসরে রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে থাকার পর এবার বিশ্বকাপে অভিষেক হতে যাচ্ছে সানজিদা আক্তার মেঘলার, যা তার জন্য বিশেষ এক মুহূর্ত। স্কোয়াডে আরও কিছু নতুন খেলোয়াড় রয়েছে, যার মধ্যে রুবাইয়া হায়দারের এখনো ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি। এটা জেনে রোমাঞ্চ হচ্ছে যে বিশ্বকাপে তার প্রথম ম্যাচ হতে পারে এবং উইকেটকিপার হিসেবে সে আমাকে সমর্থনও দেবে।’