উজানে ভারি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে বড়াল, হুড়াসাগর, ফুলজোড়, করতোয়া ও ইছামতিসহ অভ্যন্তরীণ সব নদ-নদীর পানিও। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদীর চরাঞ্চল ও বিলের নি¤œভূমি প্লাবিত হয়েছে। আবাদ করা শীতকালীন সবজি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক। তবে পানি বৃদ্ধি পেলেও বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১৩ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২.৯০ মিটার)।
অন্যদিকে জেলার কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)। গত পাঁচ দিন ধরে যমুনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়াসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়ছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনা নদীর চরাঞ্চল ও বিলের নি¤œভূমিতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। নিচু জমিতে আবাদ করা শীতকালীন সবজি ও অন্যান্য ফসলও তলিয়ে গেছে। এসব অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে অসময়ে বন্যার আতঙ্ক বিরাজ করছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, পানি আরও বৃদ্ধি পেলে শীতকালীন সবজি আবাদে চরম ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়নের ফরহাদ ও আল-আমিনসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, ‘আমরা শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু করেছি। সবজির চারা বড় হতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় যমুনার পানি বাড়ছে। শঙ্কায় রয়েছি, পানি আরও বাড়লে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হবে।’
সিরাজগঞ্জ পাউবোর (পুরো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনার পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে যমুনার তীরবর্তী চরাঞ্চলের কিছু নি¤œভূমি প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি আরও দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করা এবং বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।