ঢাকা রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ০১:৩৫ এএম

শেরপুরে উত্তরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি বিক্রি কেলেঙ্কারির অভিযোগে গত ১০ সেপ্টম্বর একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে ভুয়া, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করেছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা মহসিন আলী আকন্দ। তিনি এক প্রতিবাদলিপিতে বিষয়টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

মহসিন আলী আকন্দ জানান, তিনি ও কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী মিলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ২৫ শতাংশ জমি দান করেন। একইভাবে স্থানীয় আব্দুল মান্নানও ২৫ শতাংশ জমি দান করেছিলেন। ১৯৯২ সাল থেকে জমি দান, অর্থ, শ্রম ও মেধা দিয়ে ধাপে ধাপে বিদ্যালয়টি গড়ে তোলা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের চারতলা ভিতবিশিষ্ট ভবন নির্মাণের সুবিধার্থে তৎকালীন সভাপতি মরহুম আব্দুর রাজ্জাক আশীষ (বিআরএস) খতিয়ানভুক্ত জমির সঙ্গে পাশের একটি দাগের (বিআরএস খতিয়ান ১৩৩, দাগ নং ৭৯০) ১০ শতাংশ ভূমি এওয়াজ করে নেন। এর বিনিময়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের (বিআরএস খতিয়ান নং ৩১৭, দাগ নং ৭৮৯) ৬.৮০ শতাংশ ভূমি এওয়াজ বদল দলিল রেজিস্ট্রি করে দেন (দলিল নং-১৫৫৫১, তারিখ: ২২-১২-২০১১ ইং)। সেই প্রাপ্ত জমি থেকে মহসিন আলী নিজে ৩.২৫ শতাংশ এবং সহকারী শিক্ষক এমদাদুল হকের স্ত্রী লাভলী বেগম ৩.২৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেন (দলিল নং-১৫৫৩৫, তারিখ: ২৬-১২-২০২২ ইং)। এর প্রকৃত বিক্রয়মূল্য ছিল ১৫ লাখ টাকা, যা দলিলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। কিন্তু সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৪৫ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, পূর্বে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত শেষে জমি বিক্রির বৈধতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। অথচ সংবাদে উল্টো তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে উল্লিখিত ‘শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১৬ জন সদস্য পদত্যাগ’ ও ‘জনৈক শিক্ষক দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছেন’Ñ এসব তথ্যকেও সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করেন তিনি।

মহসিন আলী আকন্দ বলেন, তিনি একজন শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষকদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেন, অথচ সংবাদে ঢালাওভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে। তিনি সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এটি তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণœ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।