ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

যানজটে অচল মহাসড়ক

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ০১:৫২ এএম
  • টানা বৃষ্টিতে রাস্তাজুড়ে গর্ত
  • বাসচালকদের এলোমেলো থামা ভোগান্তি বাড়াচ্ছে
  • অফিসযাত্রী-শিক্ষার্থী ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার এলাকা এখন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নতুন ভোগান্তির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সকাল-বিকেল অফিসযাত্রী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছেন যানজটে। মহাসড়কের এ অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর বাসচালকদের এলোমেলো যাত্রী ওঠানামার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, টানা বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে এমসি বাজার বাসস্ট্যান্ড অসংখ্য গর্ত থাকায় যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলে। কোথাও কোথাও গর্তের গভীরতা এতটাই বেশি যে ভারী যানবাহন আটকে যায়, তখন পুরো লেন জুড়েই যানজট তৈরি হয়।

প্রাইভেট কার চালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রতিদিন গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তায় একবার ব্রেক কষলেই আরেকবার ঝাঁকুনি খেতে হয়। সময় নষ্ট তো হয়ই, গাড়ির খরচও বাড়ছে।’

গর্তের পাশাপাশি বাসচালকদের অব্যবস্থাপনাই যানজটকে বাড়িয়ে তুলছে। যেখানেই ইচ্ছা বাস থেমে যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে। এতে পুরো লেন বন্ধ হয়ে যায়, দীর্ঘ সারি তৈরি হয় গাড়ির।

যাত্রী কামাল হোসেন বলেন, সকালে অফিসের সময় একবার জট লাগলে আর নড়াচড়া করা যায় না। ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে লাগে এক ঘণ্টা।

এমসি বাজার থেকে নয়নপুর পর্যন্ত যানজটে আটকে পড়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা সময়মতো পরীক্ষায় পৌঁছাতে পারছেন না। অফিসগামীদের কাজে দেরি হচ্ছে। জরুরি রোগী নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সও আটকে পড়ছে এ যানজটে।

স্থানীয় নারী তাইয়্যেবা আক্তার বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় অনেক সময় চাকরিরও সমস্যা তৈরি হয়।’

এ বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি আইয়ুব আলী বলেন, ‘যানজট নিরসনে আমাদের হাইওয়ে পুলিশ সারাক্ষণ কাজ করছে। বিশেষ করে এমসি বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছোট ছোট গর্তের কারণে যানজট তৈরি হচ্ছিল। বর্তমানে ইট দিয়ে সাময়িকভাবে ভরাট করা হয়েছে, এতে যানজট কিছুটা কমেছে।’

তিনি আরও বলেন, মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দিনরাত ডিউটি করছে, যাতে যাত্রীদের ভোগান্তি কম হয়।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের গাজীপুর এর কর্মকর্তা শরিফুল আলমকে একাধিকবার মোবাইলে  কল করা হলে, তিনি ফোন রিসিভ করেনি। ফোন রিসিভ না করার কারণে সড়ক ও জনপদ বিভাগের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।