রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৫, ০৩:০৬ এএম

সরকারি ভবন নির্মাণে শ্রমিক লীগ নেতার বাধা

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৫, ০৩:০৬ এএম

সরকারি ভবন নির্মাণে শ্রমিক লীগ নেতার বাধা

বরিশালের গৌরনদীতে শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি ভবন নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার হোসনাবাদ মডেল গ্রাম সমবায় সমিতির ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে আত্মগোপনে থাকা শ্রমিক লীগ নেতা নেতা রবিউল ইসলাম সুমন বিভিন্ন দপ্তরে মনগড়া অভিযোগ দায়ের করায় ভবনের নির্মাণকাজ থমকে গেছে বলে অভিযোগ করেন সমিতির সদস্যরা। ফলে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ওই গ্রামের সমবায় সমিতির সদস্য আজিম আকন, মনিরুজ্জামান আকনসহ একাধিক সদস্য বলেন, সমিতির ভবন নির্মাণের জন্য জমির মালিক স্থানীয় শাহ আলম রাঢ়ী ২০২২ সালে ১৫ শতক জমি দান করেন। পরবর্তী সময়ে ২০২৪ সালে ২ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদার ইঞ্জিনিয়ারিং নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু নির্মাণকাজ শুরুর দুই দিন পরই স্থানীয় বাসিন্দা শ্রমিক লীগ নেতা রবিউল ইসলাম সুমনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সহকারী জজ আদালত থেকে জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এতে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। একই বছরের ৭ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। পরবর্তী সময়ে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের জন্য স্ট্যাটাস-কো আদেশ জারি করা হয়। গত ১২ আগস্ট স্ট্যাটাস-কো’র মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এরপরও সে (রবিউল) বিভিন্ন দপ্তরে মনগড়া অভিযোগ দিয়ে ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

তারা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রবিউল ইসলাম সুমন নিজেকে ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সহসভাপতি পরিচয় দিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে ভবন নির্মাণে বাধা প্রদান করেছেন। বর্তমানে সে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় গোপন রেখে নানা কৌশলে সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে।

তবে সরকারি ভবন নির্মাণে বাধা প্রদানের অভিযোগ অস্বীকার করে রবিউল ইসলাম সুমন বলেন, জমি দানকারী শাহ আলম রাঢ়ীর সঙ্গে জমি নিয়ে আমাদের বিরোধ রয়েছে। জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় আদালত থেকে জমির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করা হয়েছে। যে কারণে ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. অহিদুর রহমান বলেন, চলতি বছরের জুন মাসে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এত দিন নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। খুব দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!