২০২৭ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি ওয়ানডে বিশ^কাপের চৌদ্দতম আসর। এবারের আসরে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১৪টি দল অংশ নেবে। স্বাগতিক হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে বিশ^কাপে সরাসরি খেলবে। আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা আট দল বিশ^কাপে সরাসরি খেলবে। বাকি চার দল আসবে বাছাইপর্বের বৈতরণি পার হয়ে। স্বাগতিক হলেও নামিবিয়া আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ না হওয়ায় বাছাইপর্বে অংশ নেবে। আগামী বিশ^কাপে সরাসরি খেলার লক্ষ্য বাংলাদেশের। এ জন্য র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ আটের মধ্যে থাকতে হবে তাদের। বর্তমানে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দশম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আগামী মার্চের মধ্যে সেরা আটে থাকতে হলে র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ উন্নতি করতে হবে টাইগারদের।
র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে হলে জয়ের বিকল্প নেই। তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। যদিও সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানদের কাছে বাজেভাবে হেরেছে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন দল। বাছাইপর্ব খেলে বিশ^কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে চায় না তারা। পেস অলরাউন্ডার তানজিম হাসান সাকিব বলেছেন, বিশ^কাপে সরাসরি খেলার জন্য র্যাঙ্কিংয়ে ওপরের সারিতে থাকার লক্ষ্য তাদের। তিনি বলেন, ‘আরও ওপরের দিকে থাকাটাই আমাদের জন্য মানানসই। আসলে যেটা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এখন কীভাবে পরের ম্যাচগুলো জেতা যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’ তানজিম আরও বলেন, ‘২০২৭ বিশ^কাপে কীভাবে আমরা সরাসরি খেলতে পারি, সেটাই আমাদের মাথায় থাকা উচিত। কোয়ালিফায়ার খেলা আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য মানায় না।’
৫০ ওভারের ওয়ানডে ক্রিকেটে সফল হতে হলে সব দিক থেকেই ভালো খেলতে হয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে অনেক বেশি ডট বল খেলেছে বাংলাদেশ। সেটি দলকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে। তানজিম বলেন, ‘৫০ ওভারের ম্যাচে যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লক্ষ্য ছুড়ে দিতে না পারেন, তাহলে খেলা কঠিন হয়ে যায়। এটা নিয়েই আমরা আলোচনা করছি।’ সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলে যে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে, সেটি পূরণ হয়নি। এই শূন্যতা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের কোনো আশু পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তানজিম বলেন, ‘সাকিব ভাই বিশে^ একজন। উনি টিমে থাকা মানে একজন বোলার নিয়ে টেনশন করতে হয় না, একজন ব্যাটার নিয়েও টেনশন করতে হয় না। সাকিব ভাইয়ের মতো একজন অলরাউন্ডার পাওয়া দুষ্কর। বাংলাদেশে ওনার ব্যাকআপ তৈরি করা কঠিন।
এই স্থান পূরণে যথাসম্ভব চেষ্টা আমরা করব। যারা বোলার আছেন, ব্যাটার আছেন, তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তাহলে এই অভাবটা পূরণ করতে পারব।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানরা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে। এরপর ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজও রয়েছে বাংলাদেশ দলের। এসব সিরিজে ভালো কিছু করে দেখাতে পারলে বিশ^কাপে সরাসরি খেলার লক্ষ্য পূরণ হতে পারে মিরাজদের।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন