সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় সড়ক

শিল্পাঞ্চলখ্যাত ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ায় এক ঘণ্টার ভারি বৃষ্টিতে সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকে। এতে চলাচলে বিঘœ ঘটার পাশাপাশি খানাখন্দে ভরা সড়কগুলোতে কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গতকাল শনিবার সকালে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া ও জোড়পুল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দীর্ঘ যানজটের চিত্র দেখা যায়। এ সময় ভরারী নতুনপাড়া ও রাজফুলবাড়িয়া মোহাম্মদ আলী ইয়কুব আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরো সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পানি সড়ক ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছে সাড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে।

স্থানীয়রা জানান, সারা বছরই রাজফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থকে বাজারের সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকে। গত বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির কারণে ভরারী নতুনপাড়া সড়কের শরিফুল মিয়ার বাড়ির সামনে হাঁটুপানি জমে গেছে। অপর দিকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় গত শুক্রবার সকালে সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের ওপর পানি জমে থাকায় যান চলাচলে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

নাজিম উদ্দিন নামে এক গার্মেন্টসকর্মী বলেন, ময়লা পানির জন্য আমাদের ঝুঁঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। বিভিন্ন সময় রিকশা উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ সড়কটি উঁচু করার দাবি তাদের।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, দোকানের সামনে প্রায় সময় হাঁটুপানি থাকায় ময়লা পানি মাড়িয়ে কাস্টমার না আসায় ব্যবসায় ধস নেমেছে।

সড়কের পাশে দোকানি মামুনুল হক জানান, সব সময় পানি জমে থাকার কারণে পিচঢালা সড়কের পরিবর্তে ইট সলিং করে বানানো সড়কে খানাখন্দের অভাব নেই। প্রায়ই রিকশা-ভ্যান উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। বছরের পর বছর ধরে এমনটা চলে এলেও দেখার যেন কেউ নেই। এ ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সড়কটি মেরামত করা হবে বলে শুনেছি সেটিরও কোনো খবর নেই।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কলকারখানা ও বাসাবাড়ির বর্জ্যে ড্রেনেজ-ব্যবস্থা বিকল হওয়ায় বছরের প্রথম ভারি বৃষ্টিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সাভার উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, আমরা ইতিমধ্যে রাজফুলবাড়িয়ার মোহাম্মদ আলী ইয়াকুব আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কটিসহ কয়েকটি সড়কের টেন্ডার করেছি। এক মাসের মধ্যেই সড়কগুলোর কাজ শুরু করা হবে। বাকি রাস্তাগুলোর সমস্যা পর্যায়ক্রমে কাজ করা হবে।