প্রকৃতিতে এখন চলছে শরৎকাল। এ সময় আকাশ কখনো মেঘে ঢাকা, কখনো আবার উজ্জ্বল নীলিমায় ভরপুর। এরই মধ্যে নামে হালকা বৃষ্টি। রোদ, মেঘ আর বৃষ্টির এই খেলা যেন ঋতুবদলের আয়োজন করেছে প্রকৃতিতে। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর আর হালকা হিমেল হাওয়ায় প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে ভোরে দেখা মিলেছে ঘন কুয়াশার। এতে প্রকৃতি মানুষকে জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
গতকাল সোমবার ভোরে জেলাজুড়ে নেমে আসে ঘন কুয়াশা। এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে শহর ও গ্রামের পথঘাটসহ বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। এ সময় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে যানবাহন। ভোর থেকে চারদিক ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাওয়ায় পথঘাট প্রায় দেখা যাচ্ছে না। তারপরও জীবন ও জীবিকার তাগিদে কুয়াশা ভেদ করে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ছুটছেন খেটে-খাওয়া নি¤œ আয়ের মানুষজন। কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুরের ঘোড়ার গাড়িচালক মজিবর বলেন, ‘পেটের তাগিদে ভোরবেলায়ই বের হতে হয়েছে। কুয়াশার কারণে আস্তে আস্তে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। কয়েক দিন ধরে সামান্য কুয়াশা থাকলেও, আজ কুয়াশা অনেক বেশি।’
আকস্মিক এই ঘন কুয়াশা এবং ধানের পাতার ডগায় শিশির বিন্দুকে জেলাবাসী শীতের আগাম বার্তা হিসেবে দেখছেন। তবে জেলায় কুয়াশা দেখা দিলেও তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন আসেনি। স্থানীয় রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এক সপ্তাহ ধরে জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২৩-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। গতকাল সোমবারও জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এতে করে কুয়াশা পরলেও তাপমাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে না। তবে এ মাসের শেষের দিকে শীত পুরোপুরি নামতে পারে।