লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গৃহবধূ জুলেখা বেগম (৫৫) এবং তার মেয়ে তানহা আক্তার মিমকে (১৯) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূল হোতা পারভেজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তর পারভেজ নিহত মিমের ফুফাতো ভাই। গত শুক্রবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আকতার হোসেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার পারভেজ রামগঞ্জ পৌরসভার সোনাপুর মহাদের বাড়ির আব্দুল করিমের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, ঘাতক পারভেজ দুই মাস আগে সৌদি আরব থেকে লক্ষ্মীপুরে আসে। এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের চাপ ও তার ব্যাংক হিসাবে থাকা টাকা তুলতে পারছিল না সে। সে তার মামার বাসা থেকে স্বর্ণালংকার চুরি করার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ৯ অক্টোবর বিকেলে সে বাজার থেকে একটি চাকু কিনে আমড়া ও আপেল নিয়ে তার মামার বাড়িতে যায়। পরে সে তার মামি ও মামাতো বোনকে আমড়া ও আপেল খেতে দেয়। মামাতো বোন মিমের সঙ্গে বাসার দ্বিতীয়তলায় যায়। সেখানে মিম তার হাতে ছুরি দেখে চিৎকার দিলে তাকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে তার মামি জুলেখাকেও একইভাবে গলা কেটে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে ঘটনার ৭ দিন পর বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পারভেজকে রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৬ ভরি ৪ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। তার তথ্য অনুযায়ী লক্ষ্মীপুরে দুটি দোকানে বিক্রি করা ১ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
এসপি বলেন, হত্যা মামলায় পারভেজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পারভেজ একাই পর্যায়ক্রমে তার মামি ও মামাতো বোনকে হত্যা করেছে।
প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর রামগঞ্জ উপজেলায় উত্তর চ-ীপুর গ্রামে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা ও মেয়ে কলেজছাত্রী মিমকে হত্যা করে। পরে ঘাতক পারভেজ বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ব্যবসায়ী মিজান বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন