যশোরের শার্শা উপজেলার দাউদখালী গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেল ও কয়েকটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার দুপুরের দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন, উপজেলার গোগা কালীয়ানী গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে ইমরান হোসেন (৩৪) এবং পাঁচভুলোট গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আরিফ পারভেজ (২৩)।
স্থানীয়রা জানান, দাউদখালী গ্রামের নিকিরিপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদেরসহ কয়েকটি পরিবারকে বিএনপি নেতা কুদ্দুস আলী বিশ্বাসের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছিল। বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, কুদ্দুস আলী বিশ্বাস আওয়ামী লীগপন্থিদের সহায়তা করছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা ঘোষণা দেন যে, ওই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির কোনো কর্মকা-ে থাকতে পারবেন না।
এ ঘোষণায় ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস আলী বিশ্বাসের নির্দেশে গোগা ইউনিয়নের পাঁচভুলোট গ্রামের সদ্যোবহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আজিবর বদ্দীর ছেলে সাজু বদ্দির নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসীদল দাউদখালী গ্রামে হামলা চালায়। তারা স্থানীয় বিএনপিকর্মী জাহান আলী ধাবকের ছেলে আলী হোসেনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। বাধা দিতে গেলে তার ভাই জাকির হোসেনকেও মারধর করা হয়। আলী হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শষ্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পরে গ্রামবাসী প্রতিহত করতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসী সাজু বদ্দি পিস্তল বের করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলির শব্দে আরও লোকজন ছুটে এলে তারা আবারও গুলি ছোড়ে এবং নিজেদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পালানোর সময় গ্রামবাসী দুজন সন্ত্রাসী ইমরান ও আরিফকে ধরে ফেলে এবং পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া ৩টি মোটরসাইকেল ও গুলির খোসা জব্দ করা হয়।
আহত আলী হোসেনের ভাই বিএনপির দাউদখালী গ্রামের বিএনপিকর্মী জাকির হোসেন জানান, আমি দলীয় মিটিংয়ে বিএনপি নেতা কুদ্দুস আলী বিশ্বাস আওয়ামী লীগপন্থিদের সহায়তা করছেন বলে অভিযোগ করেছি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কুদ্দুস আলী বিশ^াস আমাকে মোবাইলে ফোনে নানা হুমকি দেয়। এমনকি মার্ডার করার কথাও বলে। এর কিছুক্ষণ পরেই ৪-৫টি মোটরসাইকেলে একদল সন্ত্রাসী এসে আমার ভাইকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও মারধর করে। পরে গ্রামবাসী ধাওয়া দিলে তারা পিস্তলের গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন