ঢাকা রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

ছয় বছরেও চালু হয়নি আধুনিক হাসপাতাল

বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০২:০৬ এএম

*** বান্দরবান ২৫০ শয্যা হাসপাতাল
*** শয্যা সংকটে ভোগান্তিতে হাজারো রোগী

বান্দরবানের লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসাসেবার জন্য ২৫০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতাল নির্মাণ হলেও চালু হয়নি দীর্ঘ ছয় বছরেও।

প্রশাসনিক নানা জটিলতায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাসপাতাল ভবনটি এখন পড়ে আছে অচলাবস্থায়। ফলে প্রতিদিনই শয্যা সংকটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের।

জানা যায়, ২০০৫ সালে ১০০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরু করে বান্দরবান সদর হাসপাতাল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষ চিকিৎসার জন্য এখানে আসতে থাকেন। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও শয্যা সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে প্রতিদিনই ভর্তি হওয়া রোগীদের অনেককে থাকতে হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতে।

রোগীদের অভিযোগ, পুরোনো ভবনে নেই আইসিইউ, সিসিইউ কিংবা আধুনিক ল্যাব সুবিধা। ফলে সামান্য জটিল রোগেও রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোগীর ভোগান্তি কমাতে ২০১৯ সালে সরকার ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন ভবনে রাখা হয় আইসিইউ, সিসিইউ, আইসোলেশন ওয়ার্ড, সার্জারি ইউনিট ও গাইনি ওয়ার্ডসহ আধুনিক সব চিকিৎসা সুবিধা। তবে নির্ধারিত সময়ে নির্মাণকাজ শেষ হলেও প্রশাসনিক অনুমোদন ও জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় ভবনটি এখনো চালু করা যায়নি।

চিকিৎসা নিতে আসা বালাঘাটার বাসিন্দা সোয়েব হোসেন বলেন, চিকিৎসা নিতে এসে কেবিন খালি না থাকায় মেঝেতেই থাকতে হচ্ছে। নতুন ভবনটি চালু হলে অন্তত কিছুটা স্বস্তি মিলত।

কালাঘাটার উত্তম দাশ বলেন, পুরোনো ভবনে আইসিইউ বা সিসিইউ না থাকায় ছোটখাট জটিলতাতেও চট্টগ্রাম যেতে হয়। অথচ নতুন ভবনে সেই সুযোগ থাকলেও সেটি ব্যবহার করতে পারছি না। বান্দরবান হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। বাধ্য হয়ে ধার-দেনা করে চট্টগ্রাম যেতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. শাহীন হোসেন চৌধুরী বলেন, নতুন ভবনের অবকাঠামোগত সব কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্রশাসনিক অনুমোদন ও জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হলেই দ্রুত ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি চালু করা সম্ভব হবে। এটি চালু হলে জেলার স্বাস্থ্যসেবায় বড় পরিবর্তন আসবে। তবে তিনি কবে নাগাদ হাসপাতালটি চালু হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।