ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দেওয়ানগঞ্জ বাজারে প্রতিদিন বিকেলে বসছে পাটখড়ির হাট। চাহিদা বাড়ায় এই বাজার এখন সরগরম হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই এখান থেকে পাটখড়ি কিনে নিচ্ছেন গৃহস্থ ও পানচাষিরা।
বর্তমানে প্রতি মণ পাটখড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়, আর প্রতিটি আটি বিক্রি হচ্ছে ২০০-৩০০ টাকায়। চাহিদা বেশি থাকায় দাম আগের তুলনায় বেড়েছে, ফলে লাভবান হচ্ছেন বিক্রেতারা।
রান্নার জ্বালানি হিসেবে গৃহিণীদের কাছে পাটখড়ির কদর অনেক। পাশাপাশি পানচাষের বরজে বাঁশের শলার বিকল্প হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা ট্রলি ও ভ্যানে করে আসছেন দেওয়ানগঞ্জ বাজারে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাজারের মধ্য অংশে বিশাল জায়গাজুড়ে সাজানো রয়েছে ছোট-বড় পাটখড়ির আটি। প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন বিক্রেতা হাটে পাটখড়ি নিয়ে আসেন। দৈনিক বিক্রির পরিমাণ প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকার।
উপজেলার খারুয়া, মহেষকুড়া, বিরাশী, হাটশিরা, নরেন্দ্রপুর, কুর্শা, কাকুরিয়া, কয়ারপুর, রাজাপুর ও বেলতৈলসহ আশপাশের এলাকার মানুষ আসছেন পাটখড়ি কিনতে। বিরাশী গ্রামের আব্দুল বারেক, তাহের উদ্দিন ও আব্দুল হান্নান জানান, ‘দেওয়ানগঞ্জ বাজারে প্রতিদিনই পাটখড়ি বিক্রি হয়। দাম একটু বেশি, কিন্তু হাতে পাওয়া যায়Ñ এটাই সুবিধা।’
অন্যদিকে বিক্রেতা চরমহেষকুড়া গ্রামের সাইফুল ও মহেষকুড়ার আবু তাহের বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা পাটখড়ি এনে বিক্রি করি। এখন ভালোই বিক্রি হচ্ছে, লাভও হচ্ছে। অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত এই ব্যবসা চলবে।’ দেওয়ানগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও খারুয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘দেওয়ানগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। প্রতিদিন বিকেলে পাটখড়ির হাট বসে। স্বল্পকালীন হলেও এই ব্যবসায় অনেকেই লাভবান হচ্ছেন। আশপাশে এমন হাট আর কোথাও নেই।’

 
                             
                                    
                                                                 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                    -20251030020737.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
       -20251030184216.webp) 
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন