বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনে কমছে শিক্ষার্থী

গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫, ০১:১৫ এএম

ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনে  কমছে শিক্ষার্থী

*** ছুটিতে অধিকাংশ শিক্ষক

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সেনেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ক্রমেই কমে যাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে নির্মিত বিদ্যালয়ের দুই কক্ষবিশিষ্ট ভবনটি এখন এতটাই জরাজীর্ণ যে, সম্প্রতি ক্লাস চলাকালে ছাদের ফ্যান খুলে পড়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহত হন। এদিকে বিদ্যালয় ভবনের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে, ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ছে। ফলে ভবনটি বর্তমানে কার্যত পরিত্যক্ত। পুরোনো একটি তিন কক্ষের টিনের চালাঘরে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান, কিন্তু সেটিও ভগ্নদশায়।

বিদ্যালয়টি সেনেরচরের বৈরাণ নদের তীরে অবস্থিত হওয়ায় নদীভাঙনেরও হুমকিতে রয়েছে। টিনের ঘরের বারান্দার খুঁটি ভেঙে গেছে, ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি করেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৮-১০ জন। সেখানে কেবল ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, ‘বিদ্যালয়ে মোট ৫টি শিক্ষক পদ থাকলেও বর্তমানে কোনো স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই। আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। দুজন শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে, একজন শিক্ষক পারিবারিক কারণে ছুটিতে আছেন, আর পিয়ন একটি মামলায় জেলে। ফলে পাঠদান থেকে শুরু করে অফিসের কাজ ও টিকা নিবন্ধনÑ সবকিছু একাই সামলাতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক অভিভাবক সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৫০ জনের বেশি, কিন্তু নিয়মিত উপস্থিত থাকে মাত্র ২০-২৫ জন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি।’

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি গোপালপুর উপজেলা শাখার সভাপতি বিলকিস সুলতানা বলেন, ‘ফ্যান পড়ে শিক্ষক আহত হওয়ার পর আমরা বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ব্যবহার না করতে এবং নতুন ভবন নির্মাণের জন্য লিখিত আবেদন করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার সব ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। সেনেরচর বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপস্থিতির বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!