বরিশালের গৌরনদীতে সড়ক ও মহাসড়কের পাশ দখল করে জমজমাটভাবে চলছে ইট-বালু, পাথর ও গাছের ব্যবসা। এসব অবৈধ দখলের কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝুঁকির মুখে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না কোনো কার্যকর ব্যবস্থা। এতে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী অংশ, গৌরনদী-আগৈলঝাড়া আঞ্চলিক সড়কের নাঠৈ এলাকা এবং বাটাজোর-সরিকল সড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ইট-বালু-পাথর ও গাছের গুঁড়ির স্তূপ ফেলে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
সরিকল এলাকার বাসিন্দারা জানান, বাটাজোর-সরিকল সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। অথচ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সামান্য অসতর্কতায় ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি ওই সড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার পাশে রাখা গাছের গুঁড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানের এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
চাঁদশী এলাকার বাসিন্দারাও অভিযোগ করেছেন, গৌরনদী-আগৈলঝাড়া আঞ্চলিক সড়কের নাঠৈ বারেকের দোকান থেকে মোল্লাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কের পাশে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ইট ফেলে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসব ইটের স্তূপের কারণে ইতিমধ্যে একাধিক মোটরসাইকেল আরোহী ও ইজিবাইক চালক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব অবৈধ দখল ও ব্যবসা প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণেই দিনে দিনে বিস্তার লাভ করছে। এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. ইব্রাহীম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে খুব শিগগিরই অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ দখল অপসারণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

