*** যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল
*** বিপজ্জনক বিলবোর্ডের তোয়াক্কা নেই
*** যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা
বিলবোর্ডে লেখা ‘সাবধান তীব্র দাহ্য পদার্থ। আশপাশে চলাচল ও ধূমপান সম্পূর্ণ নিষেধ’। বিপদ এড়াতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের সামনে স্থাপিত ৬ হাজার লিটারের হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার তরল অক্সিজেন ট্যাংকের চারপাশে সতর্কতামূলক বিলবোর্ড লাগিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ট্যাংকের পাশের হাসপাতালের প্রথম গেটে হোটেল-রেস্টুরেন্টে আগুন জালানো হচ্ছে। আবার টোঙ দোকানে দাঁড়িয়ে যে যার মতো সিগারেট জ্বালাচ্ছেন। সচেতনতার অভাবে বাড়ছে ঝুঁকি। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার অক্সিজেন ট্যাংক। তরল অক্সিজেন হলো দাহ্যপদার্থ হওয়ায় ট্যাংকের আশপাশে সিগারেট জালানো অত্যন্ত ঝুঁকি। কারণ দাহ্য পদার্থে খুব সহজে আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কারণে ট্যাংকের চারপাশে সতর্কতামূলক বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ট্যাংকের পাশে রয়েছে হাসপাতালে প্রবেশের প্রথম গেট। অধিকাংশ সময় গেটটি বন্ধ থাকে। বন্ধ গেটের সামনের এলাকায় রয়েছে কয়েকটি টোঙ দোকান ও খাবারের হোটেল। সেখানে দাঁড়িয়ে অনেকেই ধূমপান করে। ট্যাংক প্রাচীরের গা ঘেঁষে বসানো হয় চা পান সিগারেটের একাধিক অস্থায়ী টোঙ দোকান গড়ে উঠেছে। সতর্কতামূলক বিলবোর্ডকে তোয়াক্কা না করে অনেকে চা খাওয়ার পর সিগারেট জ্বালায়। এছাড়া খাবারের হোটেলের চুলাও জ্বালানো হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, দাহ্যপদার্থ বিপজ্জনক হওয়ায় তরল অক্সিজেন ট্যাংকের চারপাশে বেড়া দেওয়া হয়েছে। তরল অক্সিজেন সিলিন্ডারের পাশে ধূমপান ও হোটেলে আগুন জ্বালানোর বিষয়টি শুনেছেন। সতর্কতামূলক বিলবোর্ড থাকার পরও আগুন জ্বালানো মানুষের বড় অসচেতনতা। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
খুলনা বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, তরল অক্সিজেন ট্যাংকের পাশে আগুন জ্বালানো ঝুঁকি ও বিপজ্জনক। নিয়ম না মানলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে।

