ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৫

তিন কক্ষে চলছে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠদান

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ০১:৪৯ এএম

*** ঠাকুরপুর-পীরপুর কুল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
*** প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ হয়নি নতুন ভবন
*** এক কক্ষে চলছে একাধিক শ্রেণির পাঠদান

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ঠাকুরপুর-পীরপুর কুল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এখনো তিন কক্ষবিশিষ্ট পুরোনো ভবনেই চলছে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠদান। প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ২৮ বছর পেরিয়ে গেলেও বিদ্যালয়টিতে নতুন কোনো ভবন নির্মাণ করা হয়নি। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে, ফলে শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার পরও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দৃঢ় প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়কে টিকিয়ে রেখেছেন।

বিদ্যালয়ে প্রতিবছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু ছাত্রীদের জন্য আলাদা কমনরুম নেই। জরুরি প্রয়োজনে মেয়েদের বাইরে যেতে হয়, যা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের জন্য কমনরুম থাকা উচিত। আমাদের নেই, তাই বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে যেতে হয়।’

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের বয়ষ ২৮ বছর পেরিয়েও শহিদ মিনার নেই, ফলে শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না। শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। শিক্ষানুরাগীরা মনে করেন, আধুনিকায়নের এই দেশে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার থাকা উচিত, যা নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

শ্রেণিকক্ষ সংকট নিয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র রবিউল বলেন, ‘এক কক্ষে একাধিক শ্রেণি বসার কারণে প্রতিনিয়ত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। আশা করি, একদিন নতুন ভবনে ক্লাস করব।’

শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা না বাড়ায় শিক্ষার মানে প্রভাব পড়ছে। কখনো কখনো এক কক্ষে দুই শ্রেণির পাঠদান করতে হয়।’

অন্য শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, ‘নতুন ভবন ও মেয়েদের কমনরুম না থাকায় বিদ্যালয়টির সমস্যা দীর্ঘদিন থেকে চলমান। এখনই নতুন ভবন নির্মাণের সময় এসেছে।’ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আ. হাকিম জানান, ‘মেয়েদের কমনরুম ও নতুন ভবনের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও বিদ্যালয়ের উন্নয়নে বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’