ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৫

ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে গ্রাহকেরা দিশেহারা

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ০২:০৬ এএম

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার গ্রাহকেরা ‘ভূতুড়ে’ বা অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ, এমনকি কখনো তিন গুণ পর্যন্ত বিল পেয়ে হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন অনেক ভুক্তভোগী।

সরকারি নির্ধারিত হারে আবাসিক গ্রাহকেরা সর্বনি¤œ ৫০ ইউনিটে প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ৬৫ পয়সা দিয়ে শুরু করে পর্যায়ক্রমে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৪ টাকা ৬১ পয়সা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন। তবে শ্রীমঙ্গলে গ্রাহকেরা বলছেন, নির্ধারিত ইউনিটের তুলনায় ‘অযৌক্তিক’ বিল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, মিটার না দেখে সরাসরি ‘মনগড়া’ বিল তৈরি করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। কেউ কেউ জানিয়েছেন, আগের মাসের পরিশোধিত বিলও নতুন বিলে বকেয়া হিসেবে যোগ করা হচ্ছে।

সিন্দুরখান ইউনিয়নের গুলগাঁও গ্রামের কৃষক ফারুক মিয়া বলেন, ‘আমার বাড়িতে মাত্র তিনজন বিদ্যুৎ ব্যবহার করি, অথচ এবার আগের চেয়ে দ্বিগুণ বিল এসেছে। শুধু আমি নই, আশপাশের সবাই একই বিপদে।’

ভুনবীর ইউনিয়নের সরকারবাজার গ্রামের জসীম মিয়া বলেন, ‘আমরা আগের বিল পরিশোধ করার পরও অতিরিক্ত বিল ধরানো হয়েছে। আমার বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা যায়, মিটার রিডিং না নিয়েই বিল তুলে নিয়ে যায় তারা।’

লইয়াকুল গ্রামের ইউনুস মিয়াসহ অনেকে জানান, এলাকাজুড়ে একই অভিযোগ, বিদ্যুৎ অফিসের কর্মীরা ইচ্ছেমতো বিল দিচ্ছেন, গ্রাহকদের কোনো কথা শোনা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এ বি এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত কোনো বিল দেওয়া হয়নি। যদি কেউ অভিযোগ করেন, আমরা খতিয়ে দেখব।’

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়ে কর্মকর্তাদের এ ধরনের ‘দায়সারা’ বক্তব্য পরিস্থিতি আরও জটিল করছে। স্থানীয়রা বলছেন, ‘এক-দুজনের বিল ভুল হলে ভুল বলা যেত, কিন্তু শত শত মানুষের বিল অস্বাভাবিক, এটা স্পষ্টতই ইচ্ছাকৃত অনিয়ম।’