স্কুলের মালামাল বিক্রির ঘটনায় ঝাড়ু-জুতা মিছিল

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আঁধারে গোপনে বিক্রির ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু-জুতা মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান-সাবেক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট স্কুলের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া, সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম এবং প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।

মানববন্ধনে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই ইউনিয়নকে যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে মাসুম ও মনিরুজ্জামান। তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো সবকিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তাদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আঁধারে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়। পরে এলাকাবাসী মালামাল ভর্তি গাড়ি আটক করে। কিন্তু এখন উল্টো ভালো মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

সাদিপুর ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ মোল্লা বলেন, ‘একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালামাল চুরি করে বিক্রি করার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা আমাদের ইউনিয়নের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। স্কুলের মতো পবিত্র জায়গায় দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এলাকাবাসী রাতেই মালামাল আটকে দিয়ে প্রমাণ করেছেÑ এলাকার মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় ঐক্যবদ্ধ। আমরা চাই, প্রশাসন যেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম জানান, একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে আমাদের বিতর্কিত করতে বিক্রি করা মালামাল চুরির ঘটনা সাজিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মিটিং করেছি। 

আরেক অভিযুক্ত বর্তমান কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া জানান, আমরা স্কুলের একটি কমিটি করে মালামাল বিক্রি করেছি। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোনো অনুমতি নেইনি। বিক্রি করার পর মালামাল গাড়িতে উঠাতে রাত হয়ে যায়। এখানে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি।  প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর স্কুল বন্ধ থাকায় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের নির্দেশে রাতের আঁধারে নিয়মবহির্ভূতভাবে ওই স্কুলের মালামাল বিক্রি করা হয়। যা স্থানীয়  এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী পিক-আপে করে নেওয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।