আর কয়েকদিন পরে শুরু হবে হালি পেঁয়াজের আবাদ। তার আগে পেঁয়াজের ভান্ডার হিসাবে খ্যাত পাবনার সুজানগর উপজেলায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলছে পেঁয়জের বীজতলা তৈরি কাজ। বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।
পেঁয়াজ উৎপাদনে অন্যতম জেলা পাবনা। আর জেলার মধ্যে পেঁয়াজের ভান্ডার হিসাবে খ্যাত গাজনার বিল অধ্যুষিত পাবনার সুজানগর উপজেলা। এ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন চলছে পেঁয়াজের বীজ তলা তৈরি। এখন ওই উপজেলায় গেলে চোখে পড়বে জমিতে কেউ ব্যস্ত পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষে, কেউ ব্যস্ত বিলের কদমর্ত মাটিতে বিশেষ পদ্ধতিতে ছাই ছিটিয়ে জমি চাষাবাদের উপযুক্ত করতে। আবার যে জমি উপযুক্ত হয়েছে চাষাবাদের জন্য সেই জমিতে কৃষক ব্যস্ত বীজ ছিটানোর কাজে আবার কেউ ব্যস্ত ছিটানো বীজের পরিচর্যার কাজে। সুজানগর উপজেলার হাটখালি গ্রামের পেঁয়াজ চাষি রানা মিয়া জানান, রোপণকৃত বীজ থেকে ৪৫ দিনে চারা হবে। সেই চারা লাগানো হবে জমিতে আর চারা থেকে তিন মাসের মধ্যে হবে পরিপক্ব পেঁয়াজ। তবে মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি ও বিলের পানি দেরিতে শুকানোর কারণে বীজ তলা তৈরিতে কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে।
একই এলাকার কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে বীজ, সারসহ চাষাবাদে আনুষঙ্গিক সবকিছুর দাম বৃদ্ধিতে চাষাবাদে খরচ বেড়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজ রোপণে যে খরচ হচ্ছে তাতে করে পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি করলে আমাদের পথে বসতে হবে। নাজিরগঞ্জ এলাকার কৃষক মানিক মিয়া, শাজাহান আলী বলেন, বর্তমানে যে আবহাওয়া আছে সেটা বীজ তলার জন্য উপযোগী। এ ধরনের আবহাওয়া থাকলে ভালো চারা হবে এবং তাতে করে ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি পাবনার উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক জানান, চলতি বছর পাবনায় ৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। আর তা থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।

