ঢাকা বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

মিথ্যা অভিযোগে বহিষ্কার

নটর ডেমের ৭ শিক্ষকের আমরণ অনশনের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০২:১৭ এএম

ময়মনসিংহের নটর ডেম কলেজের ৭ শিক্ষককে মিথ্যা অভিযোগে বহিষ্কার ও কলেজ প্রশাসনের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বহিষ্কৃত শিক্ষকরা। একই সঙ্গে ৬ দফা দাবিসহ অবিলম্বে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার, মিথ্যা অভিযোগ বাতিল এবং স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস০ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বহিষ্কৃত শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হলে আজ (বুধবার) থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বহিষ্কৃত রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজার রহমান রানা। তিনি বলেন, কলেজের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ডে অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি চলছে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে প্রমোশন দেওয়া হয়নি, যদিও ৫ বছর পরপর প্রমোশনের নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন না করে অধ্যক্ষ একচেটিয়া প্রশাসনিক কর্তৃত্ব বজায় রেখেছেন। কলেজের অভ্যন্তরে তথ্য গোপন, জবাবদিহিতার অভাব এবং পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনেও রয়েছে অনিয়ম ও অসদাচরণ। এসব বিষয়ে শিক্ষকরা পূর্বে আন্দোলন করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের প্রাপ্য ৬০ লাখ টাকা ফেরত দেন এবং পরবর্তীতে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। এদিকে প্রতিবাদী শিক্ষকদের হেনস্তা করতে আইন ও জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অধ্যক্ষ ড. ফা. থাদেউস হেম্ব্রম সাতজন শিক্ষককে বহিষ্কার করেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষকেরা অবৈধভাবে বহিষ্কারাদেশ, মিথ্যা অভিযোগ, আর্থিক অনিয়ম, প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা এবং রাষ্ট্রীয় নির্দেশ অমান্যের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনÑ কলেজের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক বহিষ্কৃত জহিরুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মাহামুদুল হাসান মামুন, জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মাহমুদ হাসান এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট নটর ডেম কলেজের শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধে, শিক্ষার পরিবেশ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ১৯ দফা দাবি উত্থাপন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। ওই দিন তারা অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।