বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৪০ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর স্থলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪০ জন জেলা পুলিশকে। প্রাথমিকভাবে ১৫ জন জেলা পুলিশ বন্দরের নিরাপত্তার কাজ শুরু করেছে। অন্যরা দুই-এক দিনের মধ্যে যোগ দেবেন।
গত সোমবার সকাল থেকে বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এবং বন্দরের নিরাপত্তার কাজ শুরু করেছে জেলা পুলিশ। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারীদের নিরাপত্তার জন্য ৪০ জন জেলা পুলিশ এখানে নিয়োজিত থাকবে।
গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি সাহাজাদা মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বেনাপোল স্থলবন্দরে কর্মরত ৪০ জন এপিবিএন পুলিশ সদস্যকে তুলে নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে ২০১২ সালের ৭ জুলাই বেনাপোল বন্দরে নিয়োগ দেওয়া হয় এপিবিএন। বন্দরটিতে এপিবিএন ছাড়াও ১৬৩ জন আনসার সদস্য ও ১৪০ জন বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মী রয়েছে। তারা বন্দরের ৯৩ একর জমিতে স্থাপিত ৩৪টি ওয়্যারহাউস ও একটি কার্গো ভেহিকল টার্মিনালের নিরাপত্তা এবং পাসপোর্টধারীদের ভ্রমণসংক্রান্ত নিরাপত্তায় কাজ করে থাকে।
বেনাপোল পোর্ট থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত সোমবার থেকে জেলা পুলিশ সদস্যরা বন্দরের নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন রেজা জানান, জাতীয় নির্বাচনে আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের প্রয়োজন হওয়ায় বন্দর থেকে ৪০ জন আর্মড পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আপাতত পোর্ট থানা পুলিশের ১৫ সদস্য কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা পুলিশ সদস্যরা যোগ দেবেন। এসব পুলিশ সদস্য বন্দরের নিরাপত্তাজনিত সব বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।

