লালমনিরহাট সীমান্তের ৬২ কিলোমিটার এলাকা ভারত দখলে নিয়েছে এমন একটি গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও গুজব বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া এই গুজব সীমান্তবাসীর মধ্যে অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, যা বাস্তবে কোনো ভিত্তি নেই। সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং কোথাও কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা দখলের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও গুজব তথ্য আমাদের নজরে এসেছে। সীমান্তে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই এমন অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। দেশের এক ইঞ্চি মাটিও অন্যের দখলে যেতে দেব না।’
তিনি আরও জানান, সীমান্ত থেকে কোনো বিজিবি সদস্য সরেনি, বরং টহল ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকার ওপর গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, লালমনিরহাট জেলায় ভারত লাগোয়া মোট সীমান্ত পথের দৈর্ঘ্য ৩৬০.১১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৭৪.৬৬ কিলোমিটার কাটাতারবিহীন এলাকা। গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর এই কাটাতারবিহীন অংশে অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।
সীমান্তবাসীর বক্তব্য- এগুলো মিথ্যা গুজব, আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা’। আমরা এখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
দুর্গাপুর সীমান্তের কৃষক আবেদ আলী (৫৯) বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সীমান্ত এলাকায় মাঠে কাজ করি। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার অস্তিত্বই নেই। অনলাইনে এসব দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছি।’ আমাদের এখানে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি।
মোগলহাট সীমান্তের কৃষক দবিয়ার রহমান (৫৭) বলেন, ‘ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকজন এমন তথ্য ছড়িয়ে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছে। বাস্তবে কিছুই ঘটেনি।’
কালীগঞ্জের চন্দ্রপুর সীমান্তের কৃষক আব্দুল আলিম (৬৬) জানান, ‘বিজিবি সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। আমরা নিজেরাই সীমান্তে বসবাস করিÑ এখানে কোনো ধরনের দখলের ঘটনা ঘটেনি। এটা পুরোপুরি গুজব।’
লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম আরও বলেন, ‘বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক ও সক্রিয়। আমি নিজেও নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করছি। এসব গুজব ছড়ানোর উদ্দেশ্য কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন