শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সজীব আলম, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০২:১০ এএম

সব দল মাঠে, নেই শুধু বিএনপি

সজীব আলম, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০২:১০ এএম

সব দল মাঠে, নেই শুধু বিএনপি

  • একই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী দুই ভাই
  • মনোনয়ন জটিলতায় লালমনিরহাট-২ আসনে স্থবিরতা
  • অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রার্থীরা সক্রিয়

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৩৭টি আসনে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ঘোষিত আসনগুলোতে প্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করলেও লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে এখনো মাঠে নামেনি বিএনপি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, এই আসনে চাচাতো-জ্যাঠাতো দুই ভাই, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল এবং কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ায় এখনো প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়নি। এর ফলে এ আসনে গণসংযোগ শুরু করতে পারছে না বিএনপি। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

দলীয় প্রার্থী ঘোষণা হওয়ায় লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) ও লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে ইতিমধ্যে নির্বাচনি গণসংযোগ শুরু হয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন জটিলতায় লালমনিরহাট-২ আসনে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা না করা পর্যন্ত মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ বা গণসংযোগ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জয়নুল আবেদীন স্বপন সাংগঠনিক প্যাডে রোকন উদ্দিন বাবুল ও জাহাঙ্গীর আলমকে পৃথক চিঠি দিয়ে এই নির্দেশনা প্রদান করেন।

এদিকে এই আসনে বিএনপি থমকে থাকলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রার্থীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি ফিরোজ হায়দার লাভলু, জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলীয় সংগঠক রাসেল আহমেদ, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি মাহফুজুর রহমান, জনতার দলের প্রার্থী, সাবেক এমপি প্রয়াত মজিবুর রহমানের ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামাল, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সদস্য দীপক কুমার রায়। এদের সবাই নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই ভাই রোকন উদ্দিন বাবুল ও জাহাঙ্গীর আলম পৃথকভাবে গণসংযোগ শুরু করলে তাদের সমর্থকদের মধ্যে প্রকাশ্য বিভক্তি দেখা দেয়, যা দলীয় বিব্রত পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

বিএনপির তৃণমূল নেতাদের মতে, উভয়েই এলাকায় শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে রোকন উদ্দিন বাবুল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হয়ে ৭৮ হাজার ১৫৩ ভোট পেয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় হয়েছিলেন। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে তিনিও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। অন্যদিকে জাহাঙ্গীর আলম তিনবার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে ১৪ হাজার ভোট পেয়েছিলেন।

এ বিষয়ে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রোকন উদ্দিন বাবুল বলেন, ‘পূর্বের সরকারের আমলে আমার বিরুদ্ধে ১৮টি হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমি সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ায় আমাকে টার্গেট করা হয়েছিল। পাঁচ আগস্টের পরে মামলাগুলো থেকে রেহাই পেয়েছি।’

কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রাজনীতি করতে গিয়ে পরিবারকে যথেষ্ট সময় দিতে পারিনি, নেতাকর্মীদের সময় দিয়েছি। তারা আমাকে আরও ভালো অবস্থানে দেখতে চান। মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে গণসংযোগ শুরু করেছিলাম, কিন্তু দলীয় নির্দেশনা পাওয়ার পর তা বন্ধ রেখেছি।’

এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় আরও রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আহমেদ হেলাল, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. রোকনুজ্জামান।

দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে লালমনিরহাট-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেরি ও অভ্যন্তরীণ জটিলতা রাজনৈতিক মাঠে দলটিকে পিছিয়ে দিচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো যখন পুরোপুরি সক্রিয়, তখন বিএনপি এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে এখনো অনিশ্চয়তায় ঘেরা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!