মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আগাম আলুতেই ভরসা কৃষকদের

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৭:৪১ এএম

আগাম আলুতেই ভরসা কৃষকদের

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আগাম আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। বৃষ্টির আশঙ্কা উপেক্ষা করে বেশি দামে আলু বিক্রির আশায় সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি বা শেষ সপ্তাহে অধিক ঝুঁকি নিয়ে আলু রোপণ করেছিলেন কৃষকরা। এবার রেকর্ড পরিমাণ আলু ফলনের পাশাপাশি পুরোনো আলুর দাম কম থাকায় আগাম আলু বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাইছেন তারা।

কৃষকরা বলছেন, সরকার যদি চোরাই পথে আসা ভারতীয় আলু আমদানি বন্ধ করে, তাহলে আলুচাষিরা আগাম আলুর ভালো দাম পেতে পারবে এবং ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সক্ষম হবেন।

গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আলুচাষি জাহাঙ্গীর হোসেন তার জমি থেকে আগাম আলু উত্তোলন শুরু করেছেন।

কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত বছর চার বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম। আলুর দাম কম থাকায় চার বিঘা জমির ১০৫ বস্তা আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করেছি। সেখান থেকে ১০ বস্তা আলু বের করে ৪০ শতক জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। হিমাগারে থাকা বাকি ৯৫ বস্তা আলু বিক্রি করে হিমাগারের খরচ বাদে ১৫ হাজার টাকা পেয়েছি। বর্তমানে ৪০ শতক জমির আলু উত্তোলন করে ঢাকায় নিয়ে যাব। যদি দাম ভালো পাই, তাহলে লোকসান পুষিয়ে নিতে পারব। এই ৪০ শতক জমিতে আমার ৮০ কেজি বা ১৫ বস্তা আলু হতে পারে। যদি প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা বিক্রি করতে পারি, তাহলে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা বিক্রি করা সম্ভব হবে।

কবিরাজপাড়া গ্রামের কৃষক সোহাগ মিয়া বলেন, আমি সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখে দুই বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। বৃষ্টির কারণে এক বিঘার মতো আলুখেত নষ্ট হয়ে গেছে। আজ বাকি আলু উত্তোলন শুরু করেছি। আশা করছি ১০ বস্তা হবে। জমিতে প্রতি কেজি আলু ৫৫ টাকায় বিক্রি করেছি। ঢাকায় বিক্রি করিনি কারণ শুনেছি ঢাকার বাজারে চোরাইভাবে ভারতীয় আলু আসছে।

অথাওপাড়া গ্রামের কৃষক তরিকুল ইসলাম জানান, আমি ৪৫ শতক জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। জমিতেই প্রতি কেজি ৫২ টাকায় বিক্রি করেছি। পাইকাররা আমাকে প্রতি কেজি ৩ টাকা কম দিতে বলেছে, কারণ আলুর রং তাদের ভালো লাগেনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, এখনো পুরোপুরি আলু উত্তোলন শুরু হয়নি। কয়েকজন কৃষক দুই-তিন বিঘা জমিতে ঝুঁকি নিয়ে আগাম আলু চাষ করেছিলেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন আলু বাজারে আসা শুরু হবে। আশা করছি কৃষকেরা নতুন আলু ভালো দামে বিক্রি করে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!