ইন্টার মায়ামির জার্সি গায়ে আরও একটি মেসি-ম্যাজিক দেখা গেল। গতকাল এমএলএস কনফারেন্স কাপের সেমিফাইনালে সিনসিনাটির বিপক্ষে আর্জেন্টাইন সুপার স্টার নিজে গোল করলেন, সতীর্থদের বাকিসব গোলে রাখলেন অবদান। লিওনেল মেসিময় ম্যাচে মায়ামি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সিনসিনাটিকে। এই জয়ে আগামী শনিবারের ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে উঠেছে মায়ামি। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নিউ ইয়র্ক সিটি। যারা ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে ১-০ গোলে হারায়। সেই ম্যাচ জিতলে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপের ফাইনালে উঠবে মায়ামি।
ওহিওতে ১৯ মিনিটে মেসির গোলেই এগিয়ে যায় মায়ামি। প্রথমার্ধে এটিই ছিল মায়ামির একমাত্র গোল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে অতিথিরা। ৫৭ মিনিটে মেসির সহায়তায় গোল করেন সিলভা। আর ৬২ ও ৭৪ মিনিটে সেই মেসির বাড়ানো বল থেকেই জোড়া গোল করে মায়ামির বড় জয় নিশ্চিত করেন আলেন্দে। সব মিলিয়ে মেসির ক্যারিয়ার-অ্যাসিস্ট এখন ৪০৪টি। এই ম্যাচে মেসির পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। পুরোটা সময় যেন দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। গোল ও অ্যাসিস্ট ছাড়াও মেসি সুযোগ তৈরি করেছেন ৮টি, যেখানে চারটিই ছিল বড় সুযোগ। মেসি শট নিয়েছেন ৩টি, সফল ড্রিবল করেছেন ২টি। এ ছাড়া শতভাগ ট্যাকেল জেতার পাশাপাশি ফাইনাল থার্ডে পাস দিয়েছেন ৭টি। তার ক্রস এবং লং বলগুলোও ছিল শতভাগ নিখুঁত। ম্যাচে সব মিলিয়ে মেসির নিখুঁত পাস ছিল ৪১টি। ম্যাচ শেষে মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো বলেছেন, ‘কঠিন মাঠে কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দল যেভাবে খেলেছে আমি গর্বিত। খেলোয়াড়রা তাদের সক্ষমতা দেখিয়েছে।’ তিনি আর বলেন, ‘শুধু লিওকে (মেসি) নয়, এই পুরো দলকে কোচিং করাটাই আমার জন্য বড় সম্মান ও সৌভাগ্যের বিষয়। আমরা জানি মেসি কী করতে পারে- সে তো প্রতি সপ্তাহেই তা দেখিয়ে দেয়। আজও সে বল ছাড়া দারুণ পরিশ্রম করেছে, আর বল পায়ে সে কী করতে পারে, সেটা তো আগেই প্রমাণিত।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন