দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। ভোরের ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে তৈরি হয়েছে শীতের মৌসুমি আমেজ। কয়েক দিন ধরে সকাল-সন্ধ্যায় তাপমাত্রার তারতম্য বেড়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় এসেছে পরিবর্তন। গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন মোড় ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে নি¤œ আয়ের মানুষসহ সব বয়সি নাগরিককে।
গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, শনিবার থেকে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা আরও কমবে এবং শৈত্যপ্রবাহেরও আশঙ্কা রয়েছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ভোরে রাস্তায় বের হলেই ঠান্ডা বাতাসে অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে। ষাটোর্ধ্ব রিকশাচালক শামসুল হক বলেন, ‘এই বয়সে রিকশা চালানো ভাগ্যের ব্যাপার। শীত আর অসুস্থতা দুইয়ের চাপ সামলাতে হয়। প্রতিদিন ২৫০-৩০০ টাকার ওষুধ লাগে, আবার শীতে যাত্রীও কম।’ ভ্যানচালক ফজলুর করিম জানান, ‘বয়স হয়েছে, ঠান্ডা সহ্য হয় না, কিন্তু সংসার তো থেমে থাকে না।’ দিনমজুর সেলিম মিয়া বলেন, ‘শীতে সকালে কেউ মাঠে যায় না, তাই আমাদেরও কাজ কমে যায়।’
এদিকে শীতের শুরুতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌসুমি খেজুরগাছিরা। গ্রামাঞ্চলে খেজুর গাছে নল বসানো শুরু হয়েছে। গাছি কাউসার ইসলাম বলেন, ‘রস ওঠা শুরু হয়েছে, এখন খেজুর গুড় আর পাটালি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।’

