ইঁদুর মারা ফাঁদে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু

ঝালকাঠির নলছিটিতে বিদ্যুৎ লাইনের ইঁদুর মারা ফাঁদে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের ইছাপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম মো. বাচ্চু মল্লিক (৪৭)। তিনি ওই এলাকার মুক্তা মল্লিকের ছেলে। এবং ইছাপাশা ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো নিজের বাড়ির পাশের জমিতে কাজ করতে যান মো. বাচ্চু মল্লিক। সেখানে পাশর্^বর্তী জমিতে অবৈধভাবে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে লাইন নামিয়ে বিদ্যুৎ দিয়ে ইঁদুর মারা ফাঁদ পেতে রাখেন একই গ্রামের মো. আলাউদ্দিন জোমাদ্দার ও মো. পিন্টু হাওলাদার। সেই ফাঁদে জড়িয়ে যান বাচ্চু মল্লিক।

ঘটনার সময় পাশেই থাকা স্থানীয় স্কুলের ছাত্র–ছাত্রীরা মাঠে কাঁপতে থাকা বাচ্চুকে দেখে চিৎকার শুরু করে। তাদের আওয়াজ শুনে অভিযুক্ত আলাউদ্দিন ও পিন্টু ছুটে এসে খুঁটি থেকে লাইন খুলে ফেলেন এবং গোপনে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে বাচ্চুর পুড়ে যাওয়া হাতে কাঁদামাটি লেপে ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টাও করেন তারা। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহতের মেয়ের জামাই মো. শাকিল হোসেন বলেন, আমার শ^শুর প্রতিদিনের মতো জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে আলাউদ্দিন ও পিন্টু ইঁদুর ধরার নামে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখে। সেই ফাঁদে পড়ে তিনি মারা গেছেন। এটি পরিকল্পিতভাবে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী সীমা বেগম বলেন, আমার স্বামী গরিব মানুষ। নিজের জমিতে কাজ করতে যেতেন। ওরা অবৈধ লাইন দিয়ে ফাঁদ পেতে রাখবেÑ এটা তো আমরা ভাবতেই পারিনি। আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

অভিযুক্ত মো. আলাউদ্দিন জোমাদ্দার ইছাপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত। ঘটনাস্থলের পর তার স্কুল ও বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ঘটনার পরপরই পিন্টুর পরিবার বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে।

নলছিটি থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।