তীব্র সামরিক সংঘর্ষের পর ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান। ১৯ দিনের এই সংঘাতে স্মরণকালের ভয়াবহতম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল শত্রুভাবাপন্ন এ দুই প্রতিবেশীর মধ্যে। প্রতিরাতে সীমান্তে গোলাগুলির পাশাপাশি বিমান, ড্রোণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে দুই দেশ। উঠেছিলো পরমাণু হামলার কথাও।
একাধিক গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে, পরমাণু শক্তি প্রয়োগের পর্যায়েই পৌঁছে গিয়েছিল দুই প্রতিবেশী।
পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি একান্তভাবেই শান্তির জন্য। দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে। আগ্রাসনের জন্য নয় বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানী ইসলামাবাদে একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু–কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক এবং পর্যটক। এই হামলার জন্য পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর–ই–তৈয়বার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সংগঠনকে দায়ী করছে ভারত। সেই সঙ্গে এতে পাকিস্তান রাষ্ট্রেরও হাত আছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
এই হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি কঠোর পদক্ষেপ নেয়। ভারত সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি, বাণিজ্য, ভিসা ও আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি স্থগিত করেছে। পাল্টা পাকিস্তানও সিমলা চুক্তি, বাণিজ্য, ভিসা ও আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি স্থগিত করে। সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে টানা আট দিন রাতের বেলা গোলাগুলি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :