এক ম্যাচ পরই মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আবার স্বরূপে জ¦লে উঠলেন লিওনেল মেসি। এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা উপহার দিলেন জোড়া গোল। মেসির নৈপুণ্যে জয় পেয়েছে ইন্টার মিয়ামিও। তারা ৫-১ গোলে হারায় নিউইয়র্ক রেড বুলসকে। জোড়া গোলের পাশাপাশি সতীর্থের একটি গোলে অ্যাসিস্টও করেছেন মেসি। আর এ ম্যাচেই বিশ^কাপজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক পেনাল্টিবিহীন গোলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেছেন। পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর মোট ৯৩৮ গোলের মধ্যে ৭৬৩টি হলো পেনাল্টি ছাড়া, যা ছিল রেকর্ড। রোনালদোকে ছাপিয়ে মেসির পেনাল্টি ছাড়া গোলের সংখ্যা এখন দাঁড়াল ৭৬৪। মেসির ক্যারিয়ারে গোলসংখ্যা ৮৭৪। রোনালদোর চেয়ে ১৬৭ ম্যাচ কম খেলেছেন এই ফুটবল জাদুকর।
রেড বুল অ্যারেনায় নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে ম্যাচটিতে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল ইন্টার মিয়ামি। ১৪ মিনিটে আলেক্সান্দার হেকের গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। তবে ব্যবধানটা ১০ মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি রেড বুলস। মেসির বক্সের বাইরে থেকে করা দুর্দান্ত এক অ্যাসিস্টে মিয়ামিকে সমতায় ফেরান জর্দি আলবা। মেসির সামনে এ সময় রেড বুলসের তিন খেলোয়াড় থাকলেও মুহূর্তের মধ্যে কী ঘটেছে, তারা যেন বুঝতেই পারেননি। এই গোলের মধ্যে দারুণ এক মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন মেসি। এ নিয়ে ২০০৭ থেকে টানা ১৯ পঞ্জিকাবর্ষে ৩০ বা তার বেশি গোলে সরাসরি অবদান রাখলেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে শুরু করা এই ধারা মেসি ধরে রেখেছেন পিএসজি ও ইন্টার মিয়ামিতেও। মেসির মাইলফলক স্পর্শ করা অ্যাসিস্টের পর প্রথমার্ধে আরও দুই গোল আদায় করে নেয় মিয়ামি। ২৭ ও যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল ২টি করেন তেলাসকো সেগোভিয়া। বিরতির পর দেখা মেলে মেসির একক প্রদর্শনীর। ৬০ মিনিটে সের্হিও বুসকেতসের অসাধারণ এক পাস ধরে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্য ভেদ করেন মেসি। এরপর ম্যাচের ৭৫ মিনিটে দারুণ ফিনিশিংয়ে মেসি করেন নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোলটি। আর এই গোলেই নিশ্চিত হয় ইন্টার মিয়ামির বড় জয়। আগে টানা ৫ ম্যাচে জোড়া গোলের পর ৬ নম্বর ম্যাচে গোলহীন ছিলেন মেসি। সিনসিনাটির বিপক্ষে আর্জেন্টাইন মহাতারকার গোল না করার ম্যাচে হেরেছিল ইন্টার মিায়ামিও। এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে আবারও জোড়া গোল করছেন মেসি। এই জয়ের পর এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে অবস্থান করছে ইন্টার মিয়ামি। ২১ ম্যাচে মেসিদের পয়েন্ট ১২ জয়, ৫ ড্র ও ৪ হারে ৪১। তবে পয়েন্ট তালিকার ওপরে থাকা চার দলই মিয়ামির চেয়ে তিনটি করে ম্যাচ বেশি খেলেছে। ২৪ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে ন্যাশভিল।
আপনার মতামত লিখুন :