২০১৫ সালের এপ্রিলে ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার মিরপুরে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো ওয়ানেড সিরিজে হারানোর পাশাপাশি ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে হোয়াইটওয়াশও করেছিল তারা।
এই সিরিজের পরপরই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের আক্ষেপও ঘুচিয়েছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারানোর গৌরবময় সাফল্যের পর এবার একাধিক ম্যাচের সিরিজ জয়ের অপেক্ষার অবসানও ঘটাল বাংলাদেশ। গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ আগেই তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০তে জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা। এবার সিরিজের শেষটাও জয়ে রাঙিয়ে দিতে চান লিটন কুমার দাসরা।
আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পরস্পরের মুখোমুখি হবে। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে দুই দলের ম্যাচটি। এই ম্যাচ জিতে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশের।
গত মে ও জুনে পাকিস্তান সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হেরে এসেছে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে খেলে জিতেছে পাকিস্তানিরা। কিছুদিনের ব্যবধানে বাংলাদেশ সফরে এসে পুরো বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে তাদের। বাংলাদেশ সফরে এসে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই জমিয়ে তুলতে পারছে না পাকিস্তান দল।
সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচেই প্রভাব বিস্তার করে খেলে দাপুটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে ¯্রফে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয় স্বাগতিকেরা। ৭ উইকেটে ম্যাচ জয়ের পর এবার সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে তারা। এবার পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বদলা নেওয়ার মিশন লিটনদের। এ লক্ষ্য নিয়েই তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবেন তারা।
মিরপুরে প্রথম দুটি ম্যাচই হয়েছে লো স্কোরিংয়ের। এই লো স্কোরিংয়ের ম্যাচেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারছে না পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচ খেলার পর পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন অভিযোগ করেছিলেন, মিরপুরের উইকেট আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটের জন্য অগ্রহণযোগ্য। তবে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা মিরপুরের উইকেটে ব্যাটিং করতে না পারলেও বাংলাদেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। দুই ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় জাকের আলী অনিক বলেছেন, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৩ রান করে দল জিতলেও বাংলাদেশ ঠিকমতো ব্যাটিং করতে পারলে মিরপুরের উইকেটে অন্তত ১৫০-১৬০ রান করতে পারত।
ব্যাটিংয়ে সেভাবে করতে পারিনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের ৫৬ রানের ইনিংস খেলা পারভেজ হোসেন ইমন বলেছেন, মিরপুরের উইকেটে দেড়শ প্লাস রান তোলা কঠিন কোনো ব্যাপার নয়। মূলত পাকিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই গত দুই ম্যাচে হারতে হয়েছে তাদের। বাংলাদেশের বোলাররা দুর্দান্ত খেলছেন।
মোস্তাফিজ, তানজিম সাকিব, শেখ মেহেদী, তাসকিন, রিশাদরা বোলিংয়ে নজর কাড়ছেন। তাদের বলের সামনে সেভাবে দাঁড়াতে পারছেন না সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। আশা করা হচ্ছে, সিরিজের শেষ ম্যাচেও তারা ভালো কিছু করে দেখাবেন। মিরপুরে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়, নাকি পাকিস্তানের ফেরাÑ সেটিই দেখার অপেক্ষা।
আপনার মতামত লিখুন :