গোপালগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের ওপর হামলা নিয়ে সারা দেশে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। শুধু অভ্যুত্থানের নেতারা নয় রেহায় পায়নি পুলিশ ও সেনাবাহিনীও। প্রশ্ন উঠছে কারা করেছে এই হামলা? প্রশাসনের ভূমিকায় বা কী?
এসব প্রশ্নের মাঝেই উঠে আসল ভয়ংকর তথ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে জানালেন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা শামীম হাসান।
গোপালগঞ্জে ১৬ জুলাইয়ের রক্তাক্ত ঘটনার পেছনে থাকা চক্রান্ত ফাঁস করে দেওয়ায় এবার জীবন ঝুঁকিতে পড়েছেন তিনি। তিনি এক সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ ও র্যাব-১০ এ দায়িত্ব পালন করেন। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি অভিযোগ তোলেন- ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে রাতে তাকে হত্যা করে সদরঘাটে লাশ ঝুলিয়ে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সূত্র বলছে, এই চৌকস কর্মকর্তা গোপালগঞ্জে ট্রান্সফার হওয়ার পর একাধিক ষড়যন্ত্রের তথ্য উর্ধ্বতন মহলে জানিয়ে দেন। এর ফলেই তার বিরুদ্ধে দায়ী করা হয় ‘মিথ্যা মামলা, এবং তাকে জেল খাটানো হয়। যদিও তিনি সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে ফের এনসিপির নেতাদের নিরাপত্তায় ছায়ার মতো সক্রিয় ছিলেন।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, ১৬ জুলাইয়ের হামলার দিন তিনি এনসিপির সমাবেশস্থলের আশপাশে ছিলেন, মাত্র ১৫ গজ দূরত্বে থেকে ভ্যানগার্ডের ভূমিকায় নজরদারি চালান—যাতে নেতাদের ওপর কোনো বড় হামলা না হয়। এই অবস্থান এবং তার অপ্রকাশ্য তথ্যভাণ্ডারই এখন তাকে গোপন পরিকল্পনাকারীদের প্রধান আতঙ্কে পরিণত করেছে।
সন্দেহের তীর উঠেছে গোপালগঞ্জ পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দিকে।
জানা যায়, তারা পরিকল্পিতভাবে সেই দিন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো থেকে নিরপেক্ষ ডিউটি অফিসারদের সরিয়ে ফেলেন এবং আনা হয় বিশেষভাবে ‘বাছাই করা’ সদস্যদের। অস্ত্র আসে কুষ্টিয়ার আলমডাঙ্গা থেকে, ভাড়া করা হয় মিলিশিয়া বাহিনী। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে হামলার দিন শহরের কোথাও কোনো প্রাইভেট কার চেকিং হয়নি।
পরিকল্পনা ছিল এনসিপির আহ্বায়ক হাসনাত নাহিদসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের টার্গেট শট করে মেরে ফেলার।
তিনি আরও বলেন, ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে দিল্লি থেকে গোপালগঞ্জে একটি বিশেষ মিলিশিয়া বাহিনী গড়ে তুলেছেন—যাদের মূল কাজ হলো গুপ্ত হত্যা চালানো। পরে এই হত্যার দায় চাপানো হবে পুলিশের বা সেনাবাহিনীর নিরীহ সদস্যদের ওপর এবং এই ‘ফলাফল’ ব্যবহার করা হবে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি নতুন ‘গেইম’ খেলার অংশ হিসেবে।
আপনার মতামত লিখুন :