বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ০৮:০২ পিএম

সেনাবাহিনীর এপিসিতে উঠতে চাননি হাসনাত

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ০৮:০২ পিএম

সেনাবাহিনীর এপিসিতে উঠছেন এনসিপি নেতা হাসনাত, সারজিস ও আখতার। ছবি- সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর এপিসিতে উঠছেন এনসিপি নেতা হাসনাত, সারজিস ও আখতার। ছবি- সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে ফেরার পথে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলা ও উত্তেজনার মধ্যে সেনাবাহিনীর এপিসিতে (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) উঠতে আপত্তি জানান দলের দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

এ সময় সেনাবাহিনীর সহায়তায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এপিসিতে উঠেন। তবে হাসনাত আব্দুল্লাহ এতে উঠতে অস্বীকৃতি জানান। পরে সারজিস আলম এপিসি থেকে নেমে এসে তাকে জোর করে উঠিয়ে আনেন। ওই সময়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, হাসনাত আব্দুল্লাহ সেনাবাহিনীর গাড়িতে উঠতে না চাইলে সারজিস আলম তাকে বোঝান এবং একপর্যায়ে তাকে জোর করে গাড়িতে তোলেন। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে সকল নেতাকে এপিসিতে তুলে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘আর্মি যখন আমাদের রেস্কিউ করতে আসে তখন বাহিরে চলছে গুলি ও ককটেল হামলা। আর্মির সাফ কথা, তারা ফেস বাই ফেস সবাইকে এপিসিতে করে নেবে। তাদের অর্ডার। অন্যদিকে নাহিদ ও হাসনাত জানিয়ে দেয়, সবাই একত্রে যাব এবং গাড়িতে। এগুলো নিয়ে প্রায় আধাঘন্টা দেনদরবার চলে। এরপর সবাই নিচে নামি।’ 

তুহিন লিখেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও সামরিক কর্মকর্তা আমাকে জানান যেহেতু আমিসহ কয়েকজন ওনাদের সঙ্গে কমিউনিকেশন রাখছিলাম শীর্ষ নেতারা জাতীয় সম্পদ, সেহেতু অন্তত ওনাদের এপিসিতে দেন। 

তিনি আরও লিখেন, ‘এই নিয়ে আমাদের নিচেও অনেকক্ষণ ঝামেলা হয় এবং আমি ও ওয়াহিদ একপ্রকার জোর করে ওনাদের এপিসিতে তুলে দেই। সেখান থেকে আবারও নাহিদ ও হাসনাত নেমে যায়। সুঠাম দেহের হাসনাতকে ও নাহিদকে দ্বিতীয়বার ধস্তাধস্তি করেই এপিসিতে উঠাই।’

এর আগে সমাবেশ শেষ করে কেন্দ্রীয় নেতারা ফেরার সময় সড়ক অবরোধ করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা হঠাৎ এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। হামলাকারীরা এনসিপির গাড়িবহরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গত ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে। দেশের বিভিন্ন জেলা অতিক্রম করে বুধবার (১৬ জুলাই) দলটি গোপালগঞ্জে পৌঁছায়। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাতে দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ ব্যানারে প্রচারণা চালানো হয়।
 

Shera Lather
Link copied!