শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৮:৫৫ এএম

গন্তব্য ইউরোপ

ইউরোপ পাড়ি দিতে ২০ সহস্রাধিক বাংলাদেশি লিবিয়ায় অভিবাসী

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৮:৫৫ এএম

ইউরোপ পাড়ি দিতে ২০ সহস্রাধিক  বাংলাদেশি লিবিয়ায় অভিবাসী

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় বর্তমানে ২০ হাজার ৫০০ এর মতো বাংলাদেশি অভিবাসী আছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএম। সংস্থাটির ‘ডিসপ্লেসমেন্ট ট্র্যাকিং ম্যাট্রিক্সের (ডিটিএম) ৫৭তম প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি বছরের মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে ‘ডিসপ্লেসমেন্ট ট্র্যাকিং ম্যাট্রিক্সের (ডিটিএম)’ এর এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়, যা সোমবার (২১ জুলাই) প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে লিবিয়ায় অবস্থানরত অভিবাসীদের সংখ্যার বিবেচনায় সপ্তম স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা; যা দেশটির অভিবাসী জনসংখ্যার প্রায় দুই শতাংশ। লিবিয়ায় বর্তমানে মোট অভিবাসীর সংখ্যা আট লাখ ৬৭ হাজার, যারা বিশ্বের ৪৪টি দেশ থেকে এসেছেন।

বিশেষ করে দেশটির ত্রিপোলি ও বেনগাজি শহরে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি। অধিকাংশ বাংলাদেশিই পুরুষ এবং তারা নির্মাণ, পরিচ্ছন্নতা ও কারখানা সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত আছেন। তাদের বেশিরভাগই স্বল্প মজুরি ও অনিরাপদ পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

আইওএম বলেছে, এই অভিবাসীরা মূলত আর্থিক সংকট ও বেকারত্বের কারণে বাংলাদেশ ছেড়েছেন। অনেকেই মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে লিবিয়ায় পৌঁছেছেন এবং যাত্রাপথে এজেন্টদের মাধ্যমে ভ্রমণের জন্য গড়ে চার হাজার ৪১৪ মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন। যা অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের তুলনায় সর্বোচ্চ।

লিবিয়া অভিবাসীদের জন্য মূল গন্তব্য দেশ নয়। এটি ইউরোপে পৌঁছাতে চাওয়া অভিবাসীদের জন্য একটি ট্রানজিট পয়েন্ট। অনেকেই লিবিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ সেখানে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনাও করছেন। আবার অনেকেই নিজ দেশে ফিরে যেতে চান। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে সেটি সব সময় সম্ভব হয় না।

আইওএম বলেছে, সাব-সাহারা আফ্রিকা, মিসর, চাদ এবং নাইজার থেকে আসা অভিবাসীরা লিবিয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও বাংলাদেশ হচ্ছে গুটিকয়েক এশীয় দেশের একটি, যাদের নাগরিকদের লিবিয়ায় উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। সিরিয়া, পাকিস্তান এবং ফিলিস্তিন থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অভিবাসী আছেন উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, লিবিয়ায় বসবাসরত অভিবাসীদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছেন সুদানের নাগরিকরা। দেশটি থেকে এসেছেন প্রায় দুই লাখ ৮২ হাজার অভিবাসী, যা মোট অভিবাসীর ৩৩ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আফ্রিকার দেশ নাইজার, যেখান থেকে এসেছেন এক লাখ ৮৮ হাজার ২৯৭ জন অর্থাৎ মোট অভিবাসী সংখ্যার ২২ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা মিসর থেকে আসা অভিবাসীর সংখ্যা এক লাখ ৬৪ হাজার ৮০ জন বা ১৯ শতাংশ।

এরপর রয়েছে আফ্রিকার আরেক দেশ চাদ, যেখান থেকে এসেছেন ৮৫ হাজার ৪৭৪ জন অভিবাসী, যা অভিবাসী সংখ্যার ১০ শতাংশের সমান। পঞ্চম স্থানে থাকা নাইজেরিয়া থেকে এসেছে ২৯ হাজার ৩৮৩ জন, অর্থাৎ ৩ শতাংশ।

ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে সিরিয়া, যেখান থেকে এসেছে ২৩ হাজার ৭৩২ জন অভিবাসী, যা মোটের ৩ শতাংশ। বাংলাদেশ আছে সপ্তম স্থানে। এরপর রয়েছে ঘানা, যার অভিবাসীর সংখ্যা ১২ হাজার ৭৬৭ জন এবং মালি থেকে এসেছেন ১২ হাজার ২৪৮ জন অভিবাসী।

দশম অবস্থানে রয়েছে ফিলিস্তিন, যেখান থেকে এসেছেন ছয় হাজার ৫৬৫ জন অভিবাসী।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!