কদিন আগে পাকিস্তানের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। তবে এবার ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মধুর প্রতিশোধ নিচ্ছেন লিটন, জাকেররা। এরই মধ্যে চলমান তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটিতে দাপুটে জয় তুলে নিয়ে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেছে তারা।
এবার তাদের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যের কথা জানালেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান জাকের আলী অনিক। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ম্যাচ-সেরার পুরস্কার জিতেছেন এই তরুণ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তৃতীয় ম্যাচেও জিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যের কথা জানান জাকের। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানকে হালকাভাবে আমরা নেব না। আমরাও জেতার জন্য খেলব। ওরাও ম্যাচে খুব ভালো লড়াই করেছে। তবে আমরা টানা চার ম্যাচ জিতেছি। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে শেষ ম্যাচটি জেতার। এই প্রসেস ধরে আমরা এগোচ্ছি।’ জাকের আরও বলেন, ‘বোলাররা খুব ভালো ক্লিয়ার মাইন্ড, প্ল্যান নিয়ে ক্লিয়ার মাইন্ড। কোচের সঙ্গে ভালো কথা হচ্ছে। বাইরে থেকে প্ল্যানগুলা করে আসছে। সেগুলা কাজে আসছে।’
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫টি ছক্কায় ৫৫ রান করেন জাকের। নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে তার ব্যাট করাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। জাকের বলেন, ‘এজ গ্রুপ থেকেই আমি টেলের (নিচের দিকের ব্যাটসম্যান) সঙ্গে ব্যাট করি। অনূর্ধ্ব-১৭তে একটা ১০০-ও আছে। টেলের সাথে ৭১ রানের জুটি আছে। আমার এটা অভ্যাস আছে।
আমি এগুলো চিন্তা করি না। আমি চেষ্টা করি সঙ্গে যে থাকে, তাকে একটু সেভ করে রান নেওয়ার।’ মিরপুরের বোলিং সহায়ক উইকেটে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে স্বাগতিকেরা। তবে শেখ মেহেদি ও জাকেরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ১৩৩ রানের পুঁজি নিয়েও ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার পর নিজের ব্যাটিং নিয়ে জাকের বলেন, ‘আমি যেভাবে প্র্যাকটিস করি, সেভাবেই (করেছি)। কিছু সেটআপ চেঞ্জ করেছি বিপিএলের সময় দুই বছর আগেই আমাদের ব্যাটিং কোচের সঙ্গে। হ্যাঁ, ম্যাচ উইনিং নক জরুরি। আমি ম্যাচ উইনিং নকগুলোই কাউন্ট করি। ভালো খেলি, যদি দল না জেতে, কাউন্ট করি না। আমি আগে থেকেই জানতাম, আগে ব্যাটিংয়ে যাব আমরা। জাস্ট মেন্টালি সেভাবে রেডি ছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও পাঁচ নম্বরে খেলেছি।’
উইকেট বুঝে পরিকল্পনা সাজিয়ে মিরপুরের উইকেটে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। জাকের বলেন, ‘আমরা নিজেদের প্রক্রিয়া ধরে এগিয়েছি। উইকেটের আচরণ বা এসব নিয়ে ভাবিনি। এখানে (মিরপুর) কন্ডিশন ব্যাটিং সহায়ক না, বড় রানের উইকেট নয়। এটা মেনে নিয়ে সেভাবেই খেলি। এখানে খেলার মূলমন্ত্র এটাই। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের এটি মানতে হবে, উইকেট কন্ডিশনের পরিস্থিতি বুঝে খেলতে হবে।’ জাকেরের মতে, দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেটে আদর্শ ব্যাটিং করতে পারলে দেড়শর বেশি রান করা যেত। কিন্তু শুরুতে দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়ায় অধিনায়কের পরামর্শ অনুযায়ী ১৪০ রানের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। জাকের বলেন, ‘১৫৫-৬০ রান হওয়া সম্ভব ছিল, যদি আমরা আদর্শ ব্যাটিং করতে পারতাম। তবে আমি ব্যাটিংয়ে যাওয়ার আগে অধিনায়ক বলেছে, যেহেতু দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলেছি, ১৪০ রানের জন্য যেন যাই। আমরা ৬ রান (আসলে ৭) কম করেছি। শেষেরটা ছক্কা হলে (১৪০) হয়ে যেত।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই জিনিসগুলা ভালো। দল হিসেবে আমরা যখন নিজেদের মধ্যে আলাপ করব যে, আমরা এত রান করব বা এর বেশি করব। প্রথম থেকেই আমি পরিষ্কার ছিলাম যে, এটার জন্যই যাব। পরিস্থিতির চাহিদা এটিই ছিল। এর ওপরে যেতে পারলে আরও ভালো হতো।’
আপনার মতামত লিখুন :