দেশের ফুটবলে পুরুষদের চেয়ে মেয়েদের সাফল্য আশাতীত। সাফের সিনিয়র কিংবা বয়সভিত্তিকÑ যে কোনো পর্যায়েই। বরং মেয়েরা আরও এক ধাপ এগিয়ে। তারা এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সব মিলিয়ে সময়টা এখন তাদের হাতে। পারফরম্যান্সের কারণে সামনে খেলার ব্যস্ততাও বেড়েছে আফঈদা খন্দকারদের।
এরই মধ্যে তিনটি টুর্নামেন্ট খেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার ৬ থেকে ১০ আগস্ট লাওসে হবে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাই। স্বপ্না-আফঈদাদের প্রস্তুতি নিয়ে দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে ২ আগস্ট। লাওস থেকে দেশে ফেরার কদিন পর আবার অনূর্ধ্ব-১৭ দলের মিশন। ২০ থেকে ৩১ আগস্ট ভুটানে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ হবে। সেখানে আবার অনূর্ধ্ব-২০ দলের কয়েকজন বয়সের কারণে খেলবেন। আপাতত সব দলের একজনই কোচÑ ব্রিটিশ পিটার বাটলার। ইংলিশ কোচ সব দল নিয়ে কাজ করছেন। এবার এশিয়ান অনূর্ধ্ব-১৭ বাছাই নিয়ে বাটলার বলেন, ‘আগস্টের ৬, ৮ ও ১০ তারিখে টানা তিনটি ম্যাচ আছে আমাদের, যেটা মেয়েদের জন্য আরেকটা বড় পরীক্ষা। আমি আশাবাদী, পরিশ্রম করে ফল বের করে আনতে পারব।’
এ তো গেল বয়সভিত্তিক খেলা। জাতীয় সিনিয়র দল তো আরও ব্যস্ত। গত ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার পর বিরতি দিয়ে মে থেকে নিয়মিত টুর্নামেন্ট হচ্ছে। ৩১ মে থেকে ৩ জুন জর্ডানে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে অংশ নেয় বাংলাদেশ দল। ২৯ জুন থেকে ৫ জুলাই মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাই খেলে গড়েছে ইতিহাস। তাদের সামনে ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতি, ফিফা প্রস্তুতি ম্যাচ। রয়েছে কন্ডিশনিং ক্যাম্পও। মাঝে ৬ দল নিয়ে ডাবল লেগ পদ্ধতিতে ঘরোয়া লিগ হওয়ার কথা। এরই মধ্যে আবার ভুটানে লিগ খেলছে ডজনখানেক খেলোয়াড়। ঋতুপর্ণা-আফঈদাদের সামনে তাই ফুরসত নেই। বাটলারকে অন্তত আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাতে হবে। দিতে হবে শিষ্যদের নিয়ে একের পর এক পরীক্ষা।
আপনার মতামত লিখুন :