শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৭:৩৮ এএম

নিষিদ্ধ কীটনাশকে সয়লাব বাজার

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৭:৩৮ এএম

নিষিদ্ধ কীটনাশকে  সয়লাব বাজার

নিষিদ্ধ কীটনাশকে সয়লাব হয়ে গেছে রাজশাহীর বাজার। রাজশাহীর ৯৯ ভাগ কীটনাশকের দোকানেই এ নিষিদ্ধ কীটনাশক ও বালাইনাশক পাওয়া যাচ্ছে।

সরকার নিষিদ্ধ করে রাখলেও নানা নামে এসব কীটনাশক বাজারজাত করছে। এসব ব্যবহারের ফলে পরিবেশ, প্রকৃতি ও জনস্বাস্থ্য চরম হুমকিতে পড়ছে। শতকরা ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারীই অবগত না এটি নিষিদ্ধ এবং বিপজ্জনক কীটনাশক। এর ব্যবহারের ভয়াবহতা নিয়ে কোনো জ্ঞান নেই।

চলতি বছরই রাজশাহীতে ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাববিষয়ক মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষাটি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক। গতকাল বুধবার সকালে রাজশাহী নগরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহীর ৮টি উপজেলার ১৯টি কৃষিপ্রধান গ্রামাঞ্চলে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ, ভুক্তভোগীদের কেস স্টাডি, স্থানীয় কীটনাশক ডিলার, দোকানদার, পরিবেশক এবং উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সমীক্ষাটি করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর কীটনাশকের ৯৯ ভাগ দোকানেই দেশে নিষিদ্ধ হওয়া কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন নামে।

এসব নাম দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নিষিদ্ধ, কিন্তু বোতলের গায়ে নিচের দিকে জেনেরিক নাম খুব ছোট করে লেখা থাকে। বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ বা যেসব কীটনাশক এখনো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো- জিরো হার্ব ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), ফুরাডান ৫জি (কার্বোরাইল), এরোক্সান ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), গ্যাস ট্যাবলেট (অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড), কার্বোফোরান ৩ জিএসিআই (কার্বোফোরান) ইঁদুর মারা বিষ (বডিফ্যাকোয়াম) ও তালাফ ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট)। এ প্যারাকোয়াট বা ঘাস মারা বিষ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকে না বুঝে এগুলো আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে পান করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়ে মারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজারে অহরহ এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে, যেটি দেখার জন্য সরকারের কোনো তদারকি নেই। এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। নিষিদ্ধ কীটনাশক কীভাবে বাজারে বিক্রি হয়, কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী, সে বিষয়েও সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নিষিদ্ধ কিছু কীটনাশকও আনা হয়। এগুলো যে দোকান থেকে কেনা হয়েছে তার রশিদও দেখানো হয়। এসব দেখিয়ে বারসিকের নির্বাহী পরিচালক পাভেল পার্থ বলেন, ‘এগুলো তো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কিনেছি। রশিদও আছে। কিন্তু এগুলো নিষিদ্ধ। অথচ আমরা এগুলো হাজির করতে বাধ্য হয়েছি। এ গবেষণা একটি ফৌজদারি অপরাধকে খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু সে বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, সেটাই বড় প্রশ্ন।’

সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করা, কীটনাশক আইন ও বিধির প্রয়োগ করা, কীটনাশক-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য তথ্য নিবন্ধন কর, কীটনাশকের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের জন্য তহবিল গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!