ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্ট সিরিজে ৪টি সেঞ্চুরি করেছেন শুবমান গিল। ৭৫.৪০ গড়ে করেছেন ৭৫৪ রান। এ পর্যন্ত ৫০০ রান করতে পেরেছেন আর কেবল দুজন, ৫৫০ রান নেই কারোরই। গিলের কাছে পাঁচ দশকের বেশি পুরোনো একটি রেকর্ড হারানোর জন্য প্রস্তুত ছিলেন সুনিল গাভাস্কার। কিন্তু স্রেফ ২১ রানের জন্য অক্ষত রয়ে যায় তার সেই কীর্তি। রেকর্ডটি ভাঙতে না পারলেও ইংল্যান্ড সফরে ব্যাট হাতে যা করেছেন গিল, তাতে মুগ্ধতার শেষ নেই গাভাস্কারের। নিজের কীর্তির চেয়ে উত্তরসূরির পারফরম্যান্সকে এগিয়ে রাখছেন ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট। চলতি অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি দিয়ে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু গিলের। নেতৃত্বের প্রথম সিরিজেই ব্যাট হাতে রানের স্রোত বইয়ে দিয়ে দলকে সামনে থেকে পথ দেখান তিনি। গড়েন বেশ কিছু রেকর্ড ও কীর্তি। ওভালে শেষ টেস্টের শেষ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার সময় গিলের সামনে সুযোগ ছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক সিরিজে গাভাস্কারের সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি ভাঙার। ১৯৭১ সালে নিজের অভিষেক সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৭৪ রান করেছিলেন গাভাস্কার। ৫৪ বছরের পুরোনো সেই রেকর্ড ভাঙতে শেষ ইনিংসে ৩২ রান প্রয়োজন ছিল গিলের। কিন্তু তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলে ১১ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি গাস অ্যাটকিনসনের বলে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ড সফরে গিল যে পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন, তাতে মুগ্ধ গাভাস্কার। দিনের খেলা শেষে নিজের স্বাক্ষর করা একটি ক্যাপ ও একটি শার্ট ভারত অধিনায়ককে উপহার দেন সাবেক এই ব্যাটসম্যান। সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানে গিলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন গাভাস্কার। অধিনায়কের বাড়তি দায়িত্ব কাঁধে থাকার পরও ব্যাট হাতে গিলের দ্যুতি ছড়ানো মনে ধরার কথা বলেন তিনি। গাভাস্কার বলেন, ‘সে আমার রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে সেই প্রত্যাশায় ছিলাম, তার জন্য উপহারও রেখেছিলাম। সবই সৃষ্টিকর্তার হাতে। তবে, ৭৫৪ রান, এটাও অসাধারণ। পার্থক্য হচ্ছে, অধিনায়কত্বের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে ৭৫৪ রান করেছে সে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি তখন ছিলাম দলের তরুণ একজন, আমার ক্ষেত্রে তখন যেকোনো কিছু (রান করতে পারা না-পারা) বড় কোনো বিষয় ছিল না। যদি আমি ব্যর্থও হতাম, কেউ এসে উচ্চ স্বরে কিছু বলত না। অধিনায়ক হিসেবে ৭৫৪ রান করা বিশাল ব্যাপার। ৭৫০-এর চেয়ে বেশি রান, যা দিয়ে সে তার দলের ভাগ্যে পার্থক্য তৈরি করছে। (রেকর্ড থেকে কম করা) ওই ২০ রানের কথা না ভেবে, স্রেফ দেখুন এই ৭৫৪ রান ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য কী অবদান রেখেছে।’
আপনার মতামত লিখুন :