ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের ‘পেলে’খ্যাত কিংবদন্তি ফুটবলার সুলেমান আল-ওবায়েদ মারা গেছেন। এই খেলোয়াড়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। এই পোস্টের জন্যই মূলত উয়েফার প্রতি চটেছেন মোহাম্মদ সালাহ। কারণ- ফিলিস্তিনি ফুটবলারের কোন প্রেক্ষাপটে মৃত্যু হয়েছে, সেটি পোস্টে উল্লেখ করেনি উয়েফা।
গত বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ) জানায়, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্যের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ইসরায়েলি হামলায় সুলেমান নিহত হন। পিএফএ’র তথ্য মতে, ৪১ বছর বয়সি সুলেমান ক্যারিয়ারে শতাধিকের বেশি গোল করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ২৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দুটি গোলও। সেই ফুটবলার নিহত হওয়ার পর শুক্রবার উয়েফা ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে লিখেছে, ‘‘বিদায় সুলেমান আল-ওবায়েদ, ‘ফিলিস্তিনি পেলে’।
এক প্রতিভা, যিনি অন্ধকারতম সময়েও অসংখ্য শিশুর মাঝে আশার সঞ্চার করেছেন।’’ সেই পোস্টে সুলেমান কীভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন, তার উল্লেখ করেনি ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ জন্য তাদের কড়া সমালোচনা করেন ৩৩ বছর বয়সি সালাহ। এই মিসরীয় ফুটবল তারকা লিখেছেন, ‘আপনারা কি বলতে পারেন, তিনি কীভাবে, কোথায় এবং কেন মারা গেলেন?’ বিবিসি এর পরিপ্রেক্ষিতে উয়েফার সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি তারা। হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর আক্রমণের পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তাতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং আরও ২৫১ জনের জিম্মি হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে গাজায় ৬১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ এই মাসের শুরুর দিকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত নতুন সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করার পর গত মে মাসের শেষ থেকে খাবারের সন্ধানে ১ হাজার ৩৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সালাহ এর আগেও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের পক্ষে কথা বলেছেন এবং চলমান সংঘাতে ‘বিশ্বনেতাদের একত্রিত হয়ে নিরীহ প্রাণহানি রোধ’ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
